ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 16 November 2024 19:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বেই চলবে কোর কমিটি। শনিবার বোলপুরের জেলা তৃণমূল ভবনে কোর কমিটির সঙ্গে প্রথমবার বৈঠকে বসেন জেলা সভাপতি অনুব্রত। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অন্য কেউ নন, বীরভূমের দায়িত্ব থাকবে কেষ্টর হাতেই।
এদিনের বৈঠকে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকেই উপস্থিত ছিলেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর ফের কোর কমিটির বৈঠক হবে বলে খবর।
তবে মধ্যমণি ছিলেন সদ্য তিহাড় জেল থেক জামিনে ছাড়া পাওয়া অনুব্রতই। কোর কমিটির বৈঠকে সকলকে একসঙ্গে সংগঠনের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন বৈঠক শেষে কাজল শেখের মুখে শোনা যায়, 'কেষ্টদা আমার রাজনৈতিক গুরু, রাজনৈতিক অভিভাবক। তাঁর হাত ধরেই রাজনীতিতে আসা, কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই, একসঙ্গে কাজ করতে হবে, একসঙ্গে চলব।'
কয়েকদিন আগেই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তিনি নাকি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটিকে একেবারেই পাত্তা দিচ্ছেন না। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, তারপরই ফোন করে কেষ্টকে সতর্কও করেছেন মমতা।
অন্যদিকে দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও যে খসড়া তালিকা মমতাকে দিয়েছেন সেখানে বীরভূমে কোর কমিটিকে স্থায়ী আর শক্তিশালী করার কথা বলে হয়েছিল। তারপরই শনিবার এই অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে কোর কমিটির বৈঠক বসে।
দেড় বছর পর গরু পাচার মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে বীরভূমে নিজের জায়গায় ফিরেছেন তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জেলায় ফেরার পরই রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। দলের তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটির সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ না রেখে কেন কেষ্ট আলাদা করে দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন? তা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে কোর কমিটির কোনওরকম বৈঠক হয়নি বলে অভিযোগ। সংগঠনের কাজ যাতে সঠিকভাবে চলে সে কারণেই তড়িঘড়ি কোর কমিটির সমস্ত সদস্যকে বৈঠকে বসার নির্দেশও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন, লোকসভা ভোটেই কোর কমিটির নেতৃত্বেই বীরভূমে ভাল ফল করেছে দল। সে কারণেই পুরনো কমিটির হাতেই যেন দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সময় যত বেড়েছে কোর কমিটির দুই সদস্য কাজল শেখ ও অনুব্রতর মধ্যে দূরত্ব ততই বাড়ছিল। অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরই জেলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি করেছিলেন কোর কমিটি। সেই কমিটির অন্যতম সদস্য জেলার সভাধিপতি কাজল শেখ। কেষ্ট ফিরতেই কাজলের সঙ্গে একটা মতপার্থক্য চলছিলই। তবে শনিবারের বৈঠকে দু'জনের সম্পর্ক কতটা শিথিল হল, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। তবে এদিন অনুব্রতর পাশে থেকে কাজ করার অঙ্গীকার নিলেন কাজল। যা বীরভূমে তৃণমূলের পক্ষেই ভাল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।