দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত বছর অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। সেই থেকে দেশে শুরু হয় ‘মি টু’ আন্দোলন। কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন আরও অনেক মহিলা। কিন্তু বৃহস্পতিবার পুলিশ আদালতে জানিয়ে দিল, নানা তাঁর সহ অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তকে যৌন হেনস্থা করেছেন বলে প্রমাণ নেই। সুতরাং এই মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাওয়ারও কোনও মানে হয় না। তনুশ্রী দত্ত একথা শুনে বলেছেন, আমি মোটেই আশ্চর্য হচ্ছি না। ভারতীয় মহিলা হিসাবে আমরা এতে অভ্যস্ত।
১০ বছর আগে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ নামে এক ছবিতে নানার সঙ্গে তনুশ্রী অভিনয় করেন। সেই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে মুম্বই পুলিশ। তারা এদিন কোর্টে ‘বি সামারি’ রিপোর্ট দেয়। যখন কোনও মামলায় পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ পায় না, তখন ‘বি সামারি’ রিপোর্ট পেশ করে।
তনুশ্রী দত্তের আইনজীবী নীতিন সাতপুতে অভিযোগ করেন, পুলিশ নানাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। মামলার তদন্তে অবহেলা করেছে। তনুশ্রী দত্ত শীঘ্র বম্বে হাইকোর্টে আপিল করবেন। তনুশ্রী দত্ত নিজে লম্বা বিবৃতি দিয়ে পুলিশের সমালোচনা করেন। সেই সঙ্গে অপর অভিনেতা অলোক নাথের কথাও উল্লেখ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা আছে।
তনুশ্রীর বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, আমাদের পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই নানার মতো দুর্নীতিগ্রস্ত লোককেও ক্লিন চিট দিয়েছে। অতীতে তাঁর বিরুদ্ধে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কয়েকজন মহিলাকে হেনস্থা করা ও ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল। তনুশ্রীর দাবি, তাঁর পক্ষের সাক্ষীদের চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বদলে আদালতে পেশ করা হয়েছে মিথ্যা সাক্ষী। তাতেই মামলা দুর্বল হয়ে গিয়েছে।
অলোক নাথ সম্পর্কে তনুশ্রী বলেছেন, এর আগে ধর্ষণে অভিযুক্ত অলোক নাথও ক্লিন চিট পেয়েছেন। সিনেমায় অভিনয়ও করছেন। সেক্ষেত্রে নানার পক্ষেও ক্লিন চিট পেতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তিনিও অভিনয়ে ফিরে যাবেন এবং অসহায় তরুণীদের আগের মতোই হেনস্থা করতে থাকবেন।
বিবৃতির শেষে তনুশ্রী লিখেছেন, তিনি এখনও বিশ্বাস করেন, ন্যায়বিচার পাবেন।
তিনি বেশ কিছুদিন আগে বলিউড ছেড়ে চলে যান বিদেশে। বেশ কয়েক বছর বাদে তিনি মুম্বইয়ে ফিরে এসে নানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। নানা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তনুশ্রী দত্তের বিরুদ্ধে পালটা মানহানির অভিযোগ করেন।