পুলওয়ামাকে 'দুর্ঘটনা' বলে টুইট করে বিতর্কের মুখে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ
পুলওয়ামায় 'দুর্ঘটনা' ও ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকের পরে যেভাবে গোটা বিশ্বের মিডিয়া 'সন্দেহপ্রকাশ' করছে, তার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের 'বিশ্বাসযোগ্যতা' নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।-- এ রকমই টুইট করে বিতর্কের মুখে পড়লেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা দ
শেষ আপডেট: 5 March 2019 06:34
পুলওয়ামায় 'দুর্ঘটনা' ও ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকের পরে যেভাবে গোটা বিশ্বের মিডিয়া 'সন্দেহপ্রকাশ' করছে, তার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের 'বিশ্বাসযোগ্যতা' নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।-- এ রকমই টুইট করে বিতর্কের মুখে পড়লেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা দিগ্বিজয় সিংহ।
গত মাসের ১৪ তারিখে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গিহানায় ৪৪ জন সেনা শহিদ হওয়ার পরে প্রতিশোধের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। ১২ দিন পরে, ২৬ তারিখ কাকভোরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। নিকেশ করে জঙ্গি ঘাঁটি। সেখানেই কত জন জঙ্গি খতম হয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয় বড় বিতর্ক।
সরকার বা বায়ুসেনা কেউ কিছু জানানোর আগেই অসমর্থিত সূত্র মারফত খবর আসে, ৩৫০ জন জঙ্গি খতম হয়েছে। বিরোধীরা দাবি করে, এই সংখ্যা মোটেও সত্য নয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিতেও ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন অনেক কম-- এই মর্মে জানানো হয়। অনেকেই দাবি করে, সরকার নিহত জঙ্গির সংখ্যা স্পষ্ট করে জানাক। এর মধ্যেই বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, নিহতের সংখ্যা গোনা তাদের কাজ নয়। ও দিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দাবি করেন, অন্তত ২৫০ জন জঙ্গি খতম হয়েছে।
এই বিতর্কের আবহেই মঙ্গলবার সকালে টুইট করেন দিগ্বিজয় সিংহ। উল্লেখ করেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বায়ু সেনার এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে গোটা বিশ্বের মিডিয়া এত এত প্রশ্ন তুলে দিয়েছে যে, তার ফলে, দেশের সরকারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই টুইটেই পুলওয়ামার ঘটনাকে 'দুর্ঘটনা' বলে উল্লেখ করেন দিগ্বিজয়।
দেখে নিন সেই টুইট।
https://twitter.com/digvijaya_28/status/1102726517669261314
এই টুইটটির পরেই তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করে টুইট করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিংহ। তিনি বলেন, "একটি জঙ্গি হানাকে 'দুর্ঘটনা' বলে আখ্যা দেওয়া আমদের দেশের রাজনীতি হতে পারে না। আপনি কি রাজীব গান্ধী হত্যাকেও দুর্ঘটনা বলবেন, দিগ্বিজয়জি? এই ধরনের অবিবেচকের মত মন্তব্য করে আমাদের দেশ ও দেশের সেনাবাহিনীকে দয়া করে ছোট করবেন না।"
প্রতিক্রিয়া জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও। তিনি বলেন, "কংগ্রেসের হয়েছেটা কী? মানুষ যা ভাবছে, ওরা ঠিক তার উল্টো কথা বলছে। কোনও দেশেই সেনাবাহিনীর ওপর অবিশ্বাস দেখানো হয় না।"
প্রসঙ্গত, এয়ার স্ট্রাইকের বিস্তারিত তথ্য ইতিমধ্যেই চেয়েছেন রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অখিলেশ যাদবের মত নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, এয়ার স্ট্রাইকে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানার অধিকার আছে দেশের মানুষের।
অন্য দিকে, যাঁর টুইট নিয়ে বিতর্ক, সেই দিগ্বিজয় সিংহ ফের একটি টুইট করেন হিন্দিতে। সেখানে তিনি লেখেন, "পুলওয়ামায় তো জঙ্গি হানা হয়েছিল। তা নিয়ে কি কোনও সন্দেহ আছে নাকি? কিন্তু, তার পরেও এই কথাটি বলব যে, মোদীজির হয়ে ট্রোল করে যারা, তারা কিন্তু আসল প্রশ্নটা এড়িয়েই যাচ্ছে।"