অখিল গিরি ও শুভেন্দু অধিকারী।
শেষ আপডেট: 9th December 2024 15:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এবার সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটেও আধা সামরিক বাহিনী! শুধু তাই নয় ভোটে কারচুপি ঠেকাতে সমবায়ের ভোটে প্রতিটি বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচন রয়েছে। সমবায় ভোটকে ঘিরে মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার দু'পক্ষের সওয়াল জবাবের পর এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সাধারণত বিধানসভা বা লোকসভার মত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি লক্ষ্য করা যায়। সেদিক থেকে শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ বেনজির বলে মনে করা হচ্ছে। তার ওপর এলাকাটি পূর্ব মেদিনীপুর হওয়ায় সমবায় ভোটকে ঘিরে বাড়তি উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরেই বাড়ি বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর। সেই সূত্রে রাজনৈতিক মহলের অনেকে পূর্ব মেদিনীপুরকে শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে চিহ্নিত করে থাকেন। সেদিক থেকে এই ভোট শাসক-বিরোধী দু'পক্ষের কাছেই শুধু কর্তৃত্ব রক্ষা করা নয়, প্রেস্টিজেরও লড়াই।
সূত্রের খবর, কাঁথির সমবায়ের ভোট নিয়ে এদিন পুর্ব মেদিনীপুরের সংশ্লিষ্ট এলাকার দলীয় বিধায়কদের বিধানসভায় নিজের ঘরে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরফে সমবায় ভোট সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরিকে।
বস্তুত, শুভেন্দু তৃণমূলে থাকাকালীনও অখিলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল কার্যত 'অহি-নকুল'। সেদিক থেকে এই ভোট শুধু তৃণমূল বা বিজেপি নয়, অখিল-শুভেন্দুরও প্রেস্টিজের লড়াই। সমবায়ের দখল নিতে ইতিমধ্যে জোরদার প্রচারে নেমে পড়েছে যুযুধান দুই শিবিরই। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে সমবায় ভোটের ফলাফল কী হয়, তা নিয়ে কৌতূহলও বাড়ছে সব মহলে।
স্থানীয় সূত্রে খবর গত তিন বছর কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে কোনও নির্বাচন হয়নি। ফলে পরিচালন কমিটি ছাড়াই স্পেশাল নিয়োগ অফিসার নিয়োগ করে চলছিল সমবায়। বিভিন্ন মহল থেকে কারচুপির অভিযোগ সামনে আনা হচ্ছিল। সেই সূত্রে দ্রুত নির্বাচন করে পরিচালন কমিটি গঠনের জন্য মামলা গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। পরে ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেখানে রাজ্য এবং মামলাকারীর বক্তব্য শোনার পর আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে এবং সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে ভোট করতে হবে।
এদিন রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, ১৫ ডিসেম্বর সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষা রয়েছে। যে কারণে কাঁথির তিনটি স্কুলে প্রথমে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করার কথা ভাবা হলেও পরে তা চেঞ্জ করে কিছুটা দূরে পাঁচটি বুথ করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, যেহেতু পরীক্ষার কারণে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র সমবায় থেকে কিছুটা দূরে করা হয়েছে তাই ভোটারদের পরিবহণের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে।