শেষ আপডেট: 13 November 2022 01:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গুজরাতে নরেন্দ্র মোদীকে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে চায় কংগ্রেস (Congress)। গতকাল হিমাচলপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হতেই 'মিশন গুজরাত' (Mission Gujarat) নিয়ে কোমর বাঁধতে শুরু করেছে হাত শিবির। আর পাঁচটা রাজ্যের মতো গুজরাতেও বিজেপির প্রচারের মুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে নিজের রাজ্য বলে সেখানে বলতে গেলে মাটি কামড়ে পড়ে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী।
কংগ্রেসের পরিকল্পনা হল, ভোটের ঠিক মুখে প্রচারে ঝড় তুলে মোদীকে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা। আর এই কাজে গোটা গান্ধী পরিবারই (Gandhi family) দলের পাশে দাঁড়াতে চলেছে। নতুন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) সঙ্গে গত দু’দিন দীর্ঘ আলোচনা হয় সনিয়া গান্ধীর। প্রাক্তন সভাপতি বর্তমানকে কথা দিয়েছেন, রাহুল, প্রিয়ঙ্কা এবং তিনি নিজেও গুজরাতে প্রচারে যেতে চান। সনিয়া বেশ অসুস্থ। কিন্তু খাড়্গেকে কথা দিয়েছেন, একাধিক সভায় তিনি ভাষণ দিতে চান। 'ভারত জোড়ো যাত্রা'য় ব্যস্ত রাহুল গান্ধীকেও সনিয়া পরামর্শ দিয়েছেন, দিন কয়েকের জন্য যাত্রা বিরতি নিয়ে গুজরাতের প্রচারে ঝাঁপাতে। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী যাবেন কাল-পরশুর মধ্যেই।
কংগ্রেস এবার গুজরাতের প্রচারে ভিন্ন কৌশল নিয়েছে। মোদী এবং আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা যখন মাস তিন আগে থেকেই জনসভা, রোড-শো নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন, কংগ্রেস তখন পাড়া, মহল্লা সভা, বাড়ি বাড়ি প্রচার চালিয়েছে। কংগ্রেসের কৌশল বুঝতে পেতে সুরাতের সভায় প্রধানমন্ত্রী দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে প্রকাশ্যেই বলেন, কংগ্রেসকে দুর্বল ভাববেন না। ওরা বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাচ্ছে। বড় সভা-সমাবেশ করবে ভোট ঘোষণার পর।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমান মিথ্যে ছিল না, কংগ্রেসের কর্মসূচিতেই তা স্পষ্ট। খাড়্গের সঙ্গে গুজরাতের নেতাদের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী ১৫ দিনে তাঁরা ২৫টি মেগা র্যালি করবে। এ জন্য ১২৫টি বিধানসভা আসন বেছে নেওয়া হয়েছে, যেগুলিতে কংগ্রেস তুলনামূলকভাবে ভাল জায়গায় আছে। সভাগুলির অনেকগুলিতেই হাজির থাকবেন সনিয়া, রাহুল, প্রিয়ঙ্কা। এছাড়া প্রচারে দলীয় ঐক্যের বার্তা দিতে খাড়্গে পদমর্যাদা নির্বিশেষে পরিচিত মুখের নেতাদের প্রচারে শামিল করছেন।
দলীয় সূত্রে খবর, খাড়গে দলের দুই মুখ্যমন্ত্রী—রাজস্থানের অশোক গেহলট ও ছত্তীসগড়ের ভূপেশ বাঘেল ছাড়াও দলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ওবিসি-এসসি-এসটি-সংখ্যালঘু বিভাগের বড় নেতাদের গুজরাতে প্রচারে নামতে বলেছেন। এঁদের মধ্যে গেহলট দলের তরফে গুজরাতের ভোটের দায়িত্বে আছেন।
আগের বার অর্থাৎ ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস লড়াই করেছিল রাহুল গান্ধীকে প্রচারের মুখ করে। রাহুল তখন কংগ্রেস সভাপতি। সেবার কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে না পারলেও বিজেপিকে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল গেরুয়া শিবিরের আসন সংখ্যা একশোর নিচে নামিয়ে দিয়ে।
এবার গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস অনেক বেশি জোর দিয়েছে বুথ ম্যানেজমেন্টের উপর। ওই রাজ্যে ভোট নেওয়া হবে দু-দফায়, ১ ও ৫ ডিসেম্বর।