শেষ আপডেট: 3rd December 2022 04:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বের ২০টি উন্নত দেশের মঞ্চ জি-২০-র সভাপতিত্বর (G-20 chairmanship) ভার পেয়েছে ভারত। ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশে বড় আকারে প্রচার শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সরকার। বিপুল টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন করা হয়েছে খবরের কাগজ, টেলিভিশনে।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে আদিখ্যেতা বলে দাবি করল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, জি-২০ সভাপতিত্ব-প্রাপ্তি কোনও বিশেষ অর্জন নয়। এটি পালা করে সব সদস্য দেশেরই প্রাপ্য। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এমন করে প্রচারে নেমেছে যেন এটাও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ব্যক্তিগত কৃতিত্ব।
কংগ্রেসের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ টুইটে বলেছেন, জি-২০-র সভাপতিত্ব-প্রাপ্তি পূর্বনির্ধারিত এবং অনিবার্য ছিল। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, মেক্সিকো, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, চিন, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, জাপান, সৌদি আরব, ইতালি ও ইন্দোনেশিয়া সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব পেয়েছে। কিন্তু ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব-প্রাপ্তি নিয়ে নাটক করা হচ্ছে, যা অন্য দেশগুলি করেনি।
বিজেপি (BJP) অবশ্য কংগ্রেসের অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, অন্য দেশগুলির তুলনায় ভারত এই মঞ্চকে ভিন্ন মাত্রা দিতে চলেছে। জি-২০-র সদস্য দেশগুলির বাইরে এই মঞ্চকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে বেশ কিছু দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। যেমন প্রতিবেশী বাংলাদেশ। জি-২০-র কর্মসূচিগুলিতে তারা সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে।
বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনে জি-২০-র সভাপতিত্ব প্রাপ্তির কৃতিত্বকে কাজে লাগাতে চায় তারা। কারণ, এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ কৃতিত্ব অবশ্যই প্রাপ্য। দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো কয়েকটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জি-২০-র কর্মসূচি পালিত হবে গোটা দেশে। আগামী পরশু সোমবার প্রধানমন্ত্রী এর জন্য সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দিল্লিতে বৈঠকে ডেকেছেন।
কংগ্রেস অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির এই সব যুক্তি মানতে নারাজ। রমেশ বলেন, ‘আমি মনে করিয়ে দিচ্ছি যে লালকৃষ্ণ আদবানি ২০১৪-র লোকসভা ভোটে গান্ধীনগরে বলেছিলেন, তিনি নরেন্দ্র মোদীকে একজন উজ্জ্বল ইভেন্ট ম্যানেজার মনে করেন।’
কংগ্রেসের অভিযোগ, দেশের অর্জনকে প্রধানমন্ত্রী নিজের ও দলের স্বার্থে ব্যবহার করছেন। ভারতের সভাপতিত্ব-প্রাপ্তি উপলক্ষে চালু করা বিশেষ লোগোটি পদ্মফুলের মতো দেখতে যা বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক।
মোদী ও বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে কংগ্রেস শাসনে এই ধরনের আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান পরিচালনার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন রমেশ। তিনি বলেন, ‘১৯৮৩-তে দিল্লিতে একশোটিরও বেশি দেশের জোটনিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং তারপরে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন হয়।’
তাদের দাবি, ২০২৩-এর জি-২০-র সম্মেলনকে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে মানুষকে আসল সমস্যাগুলি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার একটি প্রচেষ্টা হিসাবে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে।
বাড়ির কাজ করে না আনায় শাস্তি দিয়েছিলেন শিক্ষিকা, স্কুলেরই তিনতলা থেকে ঝাঁপ ছাত্রের