শেষ আপডেট: 8th September 2024 16:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ তিন ডাক্তারের বিরুদ্ধে এবার এফআইআর জমা পড়ল বৌবাজার থানা। ডাক্তার বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে, রঞ্জিত সাহার বিরুদ্ধে ইমেল করে অভিযোগ দায়ে করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা পরে এই তিনজনের নাম উঠেছিল। সন্দীপ ঘোষ ছাড়ায় মেডিক্যাল দুর্নীতি মধ্যে এই তিনজনের নাম জড়িয়েছিল। কেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।
মেডিক্যাল দুর্নীতি মামলা কয়েকদিন আগেই আরজি কর হাসপাতালে প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে তাঁকে শোকজ করেছে। পাশাপাশি অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিককে সাসপেন্ড করেছে।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ পদেছিলেন এই অভীক দে। পাশাপাশি মেডিক্যাল কাউন্সিলের পিনাল ও এথিক্স কমিটির সদস্য ছিলেন বিরূপাক্ষ। আরজি করে পড়ুয়া দেহ উদ্ধারের দিন বিরুপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে সেমিনার হলের মধ্যে ছিলেন। ওই দিনের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। যদিও ওই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি দ্য ওয়াল।
আরজি কর কাণ্ড ঘটনার পরেই সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ হিসাবে অভীক দে নাম উঠে এসেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে হাসপাতালে 'দাদাগিরি' চালানোর ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিন দখলের অভিযোগ ওঠে অভীকের বিরুদ্ধে। মালিকেও হুমকি দিয়ে সেখান থেকে তাড়ান। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন আরএমও ছিল অভীক। ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র নেতা ছিলেন।
বর্ধমান মেডিক্যালের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্স ডক্টর ছিলেন বিরূপাক্ষ। চিকিৎসক মহলে যথেষ্ট প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত। সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাও ছিল। সম্প্রতি একটি অডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই ডাক্তার বিরূপাক্ষের নাম উঠে আসে। যদিও এই ভাইরাল অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দ্য ওয়াল।
এরপরে স্বাস্থ্য দফতর থেকে তাঁকে বদলি করে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু ডাক্তার বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে নিয়ে অসন্তাষ দেখা দিয়েছে কাকদ্বীপেও। কাজে যোগ দিতে এলে তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হবে, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে হাসপাতালে।