শেষ আপডেট: 5th April 2023 10:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশের (Bangladesh) আগামী সাধারণ নির্বাচনে দেশের সব আসনেই পেপার ব্যালটে ভোট নেওয়া হবে। সে দেশের নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবার জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের অর্ধেক অর্থাৎ দেড়শোটিতে ইভিএমে (EVM) ভোট নেওয়া হবে।
কিন্তু সে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সহ একাধিক পার্টি ইভিএমে ভোট (vote) গ্রহণে রাজি নয়। অন্যদিকে শাসক দল আওয়ামী লিগ সব আসনেই ইভিএমে ভোট নেওয়ার পক্ষে ছিল।
বাংলাদেশে ইভিএমে ভোট অবশ্য নতুন নয়। তবে কোনও সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়নি। উপনির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হয়েছে।
এবার জাতীয় সংসদের দেড়শো আসনে ইভিএমে ভোট নিতে চেয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নিলেও ভোট গ্রহণ মেশিন কেনার টাকা চেয়ে সময়মতো দাবি পেশ না করাতেও সমস্যা দেখা দেয়। সরকারের বক্তব্য, কমিশন টাকা চাইতে অনেক বিলম্ব করেছে। তবে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসার প্রধান কারণ বিরোধীদের আপত্তি বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারতে বিরোধী দলগুলি অনেকদিন ধরেই ইভিএম বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। তারা ফের পেপার ব্যালটে ভোট নিতে চায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ইভিএম বাতিল করতে রাজি নয়।
ইভিএমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলের কারণ হিসাবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে অপারগ বলে জানিয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, নতুন ইভিএম কিনতে কমিশন প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা চেয়েছিল। এছাড়া পুরনো ইভিএম সারাতে চেয়েছিল আরও আড়াইশো কোটি টাকা।
তবে কমিশনের সচিব জানিয়েছেন, মূল কারণ বিএনপি সহ প্রধান বিরোধী দলগুলির লাগাতার বিরোধিতা।
বিএনপি কমিশনের সিদ্ধান্তে খুশি। তবে ওই দলের নেতারা তাদের মূল দাবি থেকে এখনও সরেননি। ফলে তাদের দাবি মেনে পেপার ব্যালটে ভোট নেওয়া হলেও নির্বাচন নিয়ে মূল বিতর্ক এখনও অমীমাংসিত। বিএনপির দাবি, ভোট করাতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আওয়ামী লিগ সরকার সেই দাবি এখনও মানেনি।ফলে প্রধান বিরোধী দল ভোটে অংশ নেবে কিনা তা নিয়েই এখনও সংশয় আছে।