শেষ আপডেট: 19th October 2024 16:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জুনিয়র ডাক্তারদের থেকে চার মাস সময় চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধ্য মতো সহায়তা করার আশ্বাসও দিলেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একসঙ্গে সব মেডিক্যাল কলেজে নির্বাচন হবে বলেও জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার ধর্মতলায় ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে বেলা ২টো নাগাদ পৌঁছন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেখানে গিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তারপরই ফোন ধরিয়ে দেন আন্দোলরত ডাক্তারদের। কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ডাক্তারদের অনশন প্রত্যাহার করার আর্জি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ ডাক্তারদের ওপর নির্ভরশীল, সরকারি জায়গায় চিকিৎসা না পেলে কোথায় যাবেন তাঁরা, এ কথাও মনে করিয়ে দেন।
রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান এও বলেন, 'আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে। আমি আন্দোলনকারীদের সময় দিয়েছি। সাধ্যমতো যতটা পারব সহায়তা করব। মানুষ ডাক্তারদের উপর নির্ভরশীল। সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা না পেলে কোথায় যাবে?' কথা শেষ করার আগে ফের অনুরোধের সুরে বলেন, 'দয়া করে কাজে যোগ দিন।'
১০ দফা দাবিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা ঠিক করতে শুক্রবার সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই বৈঠকের পর তাঁরা জানিয়ে দেন, সোমবার পর্যন্ত সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্য ধর্মঘট পালন করা হবে।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শনিবার দুপুরে ধর্নাস্থলে পৌঁছন রাজ্য প্রশাসনের অন্যতম দুই শীর্ষ আধিকারিক। ফোনে আন্দোলনকরাদীরে সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি ফোনেই শোনেন তিনি। এও জানান, 'বেশিরভাগ দাবিই পূরণ করেছি। পুলিশ কমিশনারকে সরানো হয়েছে।'
আর জি করের ঘটনা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, 'কোর্টে কেস চলছে, জাস্টিস মিলবে।' সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, পরিস্থিত স্বাভাবিক হলেই রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে নির্বাচন হবে। তার জন্য সময়ও চেয়ে নেন তিনি। শেষে সকলকে অনশন প্রত্যাহার করে বৈঠকে বসার আবেদনও করেন।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবারের বৈঠকে বসার আগেই দুটি কথা স্পষ্ট করে মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক, ঘড়ির কাঁটার সময় ধরে বৈঠকে হাজির হতে হবে। দেরি করা চলবে না। দুই ৩৫ নয়, সর্বোচ্চ ১০ জন আন্দোলনকারী যোগ দিতে পারবেন প্রশাসনিক বৈঠকে। এখন দেখার, সোমবারের বৈঠক থেকে সমাধান সূত্র বের হয় কিনা।