শেষ আপডেট: 17th March 2025 11:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজ ফুরফুরা শরিফ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক করবেন পীরজাদাদের সঙ্গে। ছাব্বিশের ভোটের আগে তাঁর ফুরফুরা সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 'ভোট ব্যাঙ্কের জন্য যাচ্ছেন' এদিকে কটাক্ষ শুভেন্দুর।
বিরোধী দলনেতার সংখ্যালঘুদের নিয়ে নানা হুংকার এবং সে সব নিয়ে তৃণমূলের হুমায়ুন কবীর ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মন্তব্য ঘিরে যে চর্চা শুরু হয়েছে সে বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এই সব তো বটেই, পাশাপাশি ফুরফুরার যাঁরা পীর রয়েছেন তাঁদের মনোভাব, বক্তব্য তথা সেখানকার উন্নয়ন নিয়েই মমতা আলোচনা করতে পারেন আজ।
রাজ্য সচিবালয়ে গিয়ে গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। ২২ মিনিট কথা বলেন ফুরফুরা শরিফের ছোট ভাইজান। তার আগেও একবার নবান্নে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই বার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়নি।
অনেকে সেদিনের বৈঠক নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করলেও নওসাদ বৈঠক সেরে দ্য ওয়ালকে প্রথম জানিয়েছিলেন রাজনৈতিক বোঝাপড়া নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। তিনি বলেছিলsন, 'বিধানসভাতে বলেছিলাম এমএলএ ল্যাডের টাকা পঞ্চায়েত সমিতি খরচ করছে না। ফেলে রাখছে। তাতে সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই মর্মেই অভিযোগ জানানো হয়েছে।'
তবে, নওসাদের নবান্ন যাওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় মমতার ফুরফুরা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। আজ অর্থাৎ সোমবার বিকেলে ইফতারের পাশাপাশি প্রায় ৭০ জন পীরসাহেব ও পীরজাদার সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
ফুরফুরা যাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চেনা ভঙ্গিতে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে প্রতিবারই নাকি সেখানে যান তিনি। ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে রফা করতে। বলেন, '২০১৬ সালেও গেছিলেন। মাঝখানে পাঁচ বছর ফুরফুরার কথা, মুসলিমদের কথা ভুলে গেছিলেন। এখন ভোট আসছে। তাই যাচ্ছেন। ২৬-এ ভোট আসছে, চাপে আছেন। রাজ্যের হিন্দু ভোটার যাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেন তাঁরা একটু ফুরফুরার খবরে নজর রাখবেন।'
মুখ্যমন্ত্রী তোষণের রাজনীতি করেন, এই কথা বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বলে চলেছেন শুভেন্দু। সেই কথায় জোর দিয়েই বিষয়টি নিয়ে তিনি ঠিক কিনা সে প্রশ্ন সাংবাদিকদের উদ্দেশে ছুঁড়ে দেন। পরে নওসাদকে কটাক্ষ করে বলেন, 'ও যেদিন ডায়মন্ড হারবার ছেড়ে পালিয়েছে সেদিনই মানুষ বুঝে নিয়েছে এ টিএমসির বি টিম। ওকে লড়াই করে শুধু টিভির ক্যামেরাতে থেকে দু-চারটে সভা করলে হবে না। মাঠে থাকতে হবে। ভোটের দিন ওয়ান ডে ম্যাচ, মাঠে থাকতে হবে।'