শেষ আপডেট: 28 February 2024 14:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভা ভোটে বাকুঁড়ার দুটি আসনে গতবারও জিতেছে বিজেপি। কিন্তু ভোটের পর আর দুই বিজেপি সাংসদকে দেখা যায়নি। এলাকার মানুষেরা সুবিধা-অসুবিধায় সাংসদের পাশে পাননি বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে পর পর প্রশাসনিক সফর করছেন মমতা। মঙ্গলবার তিনি গিয়েছিলেন পুরুলিয়ায়। বুধবার প্রশাসনিক সভা করছেন বাঁকুড়াতে। আর সেই সভা থেকেই এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মমতা। তিনি বলেন, “বাঁকুড়ায় দু’টি আসনে গতবারও জিতে গিয়েছে বিজেপি। তার পরে আর ওদের দেখেছেন? এ বার আবার ভোটের আগে আসবে, গ্যাসবেলুন ফোলাবে। ওই গ্যাসবেলুনে ফুটো করে দিতে হবে।”
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভার ফলের প্রেক্ষিতে বাকুঁড়া জেলার দু’টি আসনেই জয়লাভ করে বিজেপি। এমনকী, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই জেলায় ভাল ফল করে উঠতে পারেনি বাংলার শাসক দল। জেলার ১২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ৪টি আসন জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি ৮ আসনে জয়ী হয় বিজেপি। এই অবস্থায় আগামী লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাকুঁড়াকে তৃণমূল আলাদা গুরুত্ব দিতে চাইছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
অন্যদিকে, নাম না করেও সন্দেশখালির দিকে ইঙ্গিত করে বার্তা দেন মমতা। তিনি সাফ জানান, “সিঙ্গুর হল সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম হল নন্দীগ্রাম, এক এক জায়গার এক একটা আলাদা আলাদা চেহারা মনে রাখবেন, একটার সঙ্গে আর একটার তুলনা করে দাঙ্গা বাঁধিয়ে দিয়ে ভুল করবেন না। কোথাও রক্ত ঝরুক আমি চাই না।“
ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ১০০ দিনের বকেয়া টাকা মেটাতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তবে ১০০ দিনের শ্রমিকের সংখ্যা ২১ লক্ষ নয়, মমতা জানালেন, ৫৯ লক্ষ শ্রমিককে কাজ করিয়ে টাকা দেয়নি কেন্দ্র। প্রতি পদে পদে রাজ্য কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিন সন্দেশখালিতে শুভেন্দু অধিকারীর যাত্রার দিন এক শিখ পুলিশ অফিসারকে খলিস্তানি বলে মন্তব্য করার অভিযোগ নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বললেন, ‘‘পাগড়ি দেখলেই খলিস্তানি আর মুসলমান দেখলেই পাকিস্তানি? আর তোমরা কী?’’
বুধবার বাঁকুড়ায় খাতড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা ছিল। এই সভা থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন। জঙ্গলমহলের তিন জেলার চারটি লোকসভা কেন্দ্র বর্তমানে বিজেপির দখলে। আসন্ন নির্বাচনে সেই আসনগুলি জয় পেতে মরিয়া তৃণমূল। তাই লোকসভা নির্বাচনের ঠিক কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।