শেষ আপডেট: 26th July 2024 13:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার দিল্লি যাওয়ার কথা থাকলেও যাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশে রওনা হলেন তিনি। নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন বলেও জানিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণ এবং বাজেটে বাংলাকে আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা। এ দিন কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, 'এদের যা আচরণ, বাংলাকে ভাগ করার যে চক্রান্ত, তা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যেহেতু আগে থেকে কথা বলেছিল তাই নীতি আয়োগের বৈঠকে নিয়মরক্ষা করতে যাব।'
শুধু তাই নয়, বাজেটে বাংলা সহ বিরোধী রাজ্যগুলির সঙ্গে 'বিমাতৃসুলভ' আচরণ করা হয়েছে বলেও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, "বাজেটে যেভাবে বিরোধী রাজ্যগুলিকে আর্থিক বঞ্চনা করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিজেপি নেতাদের এই ধরনের আচরণ নিন্দনীয়। "
গত কয়েকদিন ধরে নতুন করে দানা বেঁধেছে বাংলা ভাগ প্রসঙ্গ। বেশ কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সুকান্ত। এরপর বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বাংলার দুই জেলা মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ-সহ ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের কয়েকটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের ডাক দিয়েছেন। সব মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলাভাগের চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে শাসক দল। এদিন দিল্লি যাত্রার আগে এনিয়েও সরব হন মমতা। তিনি বলেন, " বাংলা তথা দেশকে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার চক্রান্ত, তা মেনে নেওয়া যায় না। অসম, ঝাড়খণ্ড, বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
তৃণমূলের একটা বড় অংশের বক্তব্য, নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়ে রাজ্যের দাবিদাওয়া পেশ করার পাশাপাশি বাজেটে বৈষম্য নিয়েও সরব হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, মমতা যদি দিল্লি গিয়েও এই বৈঠকে যোগ না দেন তাহলে তাঁর কী কর্মসূচি থাকবে সেটাও দেখার বিষয় হবে। তবে আপাতত জোটের সিদ্ধান্তের কারণে অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মতো মমতাও যে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করবেন না তা অন্তত নিশ্চিত।