মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিভি আনন্দ বোস।
শেষ আপডেট: 19th July 2024 20:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের করা মানহানি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের অন্তর্বর্তী রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
আদালত সূত্রের খবর, ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার মামলা দায়ের করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শ্লীলতাহানির অভিযোগ মামলায় এদিনই বিচার চেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতা। ওই মামলায় শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে রাজ্য ও কেন্দ্রের কাছে তাদের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী বোসের মানহানি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানোয় তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "এটা এক ধরনের ছায়াযুদ্ধ। আইনজীবীদের নিয়োগ করে জনগণের অর্থ অপচয় করা হচ্ছে। তবে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে রাজভবনের লড়াই জারি থাকবে।"
ঘটনার সূত্রপাত, গত ২ মে রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। হেয়ার স্ট্রিট থানায় গিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। এদিকে দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণের ইস্যুতে দীর্ঘ টানাপোড়ন চলেছিল। রাজ্যপালকে সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠেছিল সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, মহিলারা রাজভবনে যেতে ভয় পান। মমতার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা করেন সিভি আনন্দ বোস।
মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যপাল তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও ওই মামলায় যুক্ত করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে মুখ্যমন্ত্রী সহ চার জনকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও রকম অসম্মানজনক মন্তব্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও।
রাজ্যপালের করা মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশে সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল, ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়াও ও রিয়াদ হোসেন বোসের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। যদিও সে সেময় মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, "নির্যাতিতার দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন। এর মধ্যে ব্যক্তি আক্রমণ বা মর্যাদাহানির অভিযোগ ঠিক নয়।"এবার এ বিষয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।