শেষ আপডেট: 22nd October 2024 11:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অধিকার থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর ওপরই। এমনটাই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নিজের পছন্দ মতো উপাচার্যের তালিকা প্রস্তুত করে আচার্য তথা রাজ্যপালকে পাঠাতে পারেন। আপাতত এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনও হস্তক্ষেপ করছে না।
পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হওয়ার পর শীর্ষ আদালত প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বে ‘সার্চ-অ্যান্ড-সিলেকশন’ কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল। নির্দেশ ছিল, এই কমিটিই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপাচার্য নিয়োগের জন্য পছন্দ মতো তিনটি নামের তালিকা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে। সেই তালিকা থেকে মুখ্যমন্ত্রী পছন্দের ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করে রাজ্যপালকে পাঠাবেন। যাঁকে তাঁর পছন্দ সেই নাম সবার আগে থাকবে। কারও নাম অপছন্দ হলে সেটাও কারণ সহ জানাবেন তিনি।
এই পদ্ধতিতে কিছু সংশোধন চেয়ে রাজ্যপাল শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত বদলানো হলে উপাচার্য নিয়োগে আরও দেরি হবে। তাই এখনই কোনও পদক্ষেপ তাঁরা নিচ্ছেন না। তবে রাজ্যপালের আর্জি খারিজ হচ্ছে না। কোনও সমস্যা তৈরি হলে প্রয়োজনে পরে তা বিবেচনা করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের জানিয়েছে, নামের তালিকা নিয়ে যদি মুখ্যমন্ত্রী এবং আচার্যের কোনও বিবাদ বাঁধে, তখনই ওই আবেদন বিচার করা হবে।
রাজ্যপালের আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী নাম বাছলে আচার্যর পছন্দ নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে জটিলতা এড়াতে ‘সার্চ-অ্যান্ড-সিলেকশন’ কমিটিই প্রাথমিক যোগ্যতার তালিকা তৈরি করে দিক। কিন্তু রাজ্যপালের এই আপত্তি নিয়ে রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, ইতিমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নামের একটি প্যানেল প্রকাশ হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এখন কোনও বাধা এলে পুরো প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। কিন্তু আপাতত যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তাই বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী ৯ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।