শেষ আপডেট: 10th August 2024 14:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি হাসপাতালে বহিরাগতদের দাপট নিয়ে আগেও একাধিকবার সরব হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু লাভ হয়নি কোনও। এবার আরজিকর হাসপাতাল চত্বরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের পর ফের সামনে আসে সেই অভিযোগ। শুক্রবার দিনভর তদন্তের পরে একাধিক সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে যাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে পরে দেখা গেল সেও বহিরাগতই। যদিও একটা সূত্রের দাবি ধৃত সঞ্জয় সিভিক ভলান্টিয়ার। পড়ুয়ারা জানান, ধৃত সঞ্জয় রায় হাসপাতালের কেউ না হলেও আরজিকর মেডিক্যালের জরুরি বিভাগ থেকে চারতলা, সর্বত্রই ছিল তার অবাধ যাতাযাত। শনিবার ভয়ানক এই ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও বললেন, "আমি বুঝতে পারছি না এত বড় সাহস পায় কোথা থেকে। আরজিকর হাসপাতালে নিয়মিত যাতায়াত ছিল অভিযুক্তের।"
এদিন অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও চেয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "আমি ফাঁসির পক্ষে নই। কিন্তু কিছুক্ষেত্রে ফাঁসি দিতে হবে। কঠোরতম শাস্তি পাওয়া উচিত।"
ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই খুন, ধর্ষণ সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। শনিবার ধৃতকে আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইবেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আরজিকরের চারতলার সেমিনার হলে ওই ডাক্তারি ছাত্রীর দেহের পাশেই পড়েছিল একটি ছেঁড়া তার। তদন্তে নেমে পুলিশ কর্তারা বুঝতে পারেন, ওটি একটি ব্লু টুথ হেডফোনের ছেঁড়া তারের অংশ। সেই সূত্রেই বৃহস্পতিবার রাতে যারা ডিউটিতে ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সামনে আসে সঞ্জয় রায়ের নাম। পুলিশসূত্রে খবর সিসিটিভি ফুটেজ ঘেটে তাঁরা দেখতে পান রাত তিনটের সময় গলায় হেডফোন জড়ানো ছিল ওই যুবকের। চারটের সময় তা আর ছিল না। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এরপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযুক্ত নিজের অভিযোগ স্বীকার করেছে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশের একাংশের অনুমান। পুলিশ কর্তারা জানান, সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।