ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপি নেতৃত্ব একাধিক টুইট ও বিবৃতি দিয়ে ঘটনার কড়া নিন্দা করে। সাধারণ মানুষও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকে।
সিভিক ভলান্টিয়ারকে নির্যাতন - ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 14 June 2025 11:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteer) কোমরে দড়ি বেঁধে কান ধরে ওঠবোস করানো এবং তার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে উত্তাল হয় হাওড়ার পেঁড়ো থানা (Howrah Peron PS) এলাকা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ। এবার প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হল থানার ওসির বিরুদ্ধে। ক্লোজ (OC Close) করা হয়েছে ওসি তন্ময় কর্মকারকে।
জেলার উদয়নারায়নপুর (Udaynarayanpur) পেঁড়ো বসন্তপুর বাজার এলাকায় শ্রীধর চক্রবর্তী নামের ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও (Viral Video) হয়ে যায়। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, কেন এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল না পুলিশ। স্থানীয় থানার ওসি কাছে আগে থেকে কিছু জানতেন কিনা, আর জানলেও তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কেন জানানো হয়নি? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ১১ জুন। শুক্রবার, ১৩ জুন ভাইরাল হয় সেই ঘটনার একটি ভিডিও, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক কোমরে দড়ি বেঁধে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে কান ধরে ওঠবোস করাচ্ছে এবং দলবল নিয়ে তাঁকে গালাগাল দিচ্ছে। ভিডিওর সত্যতা দ্য ওয়াল যাচাই করেনি। তবে শোনা যাচ্ছে, ভিডিওতে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের শনাক্ত করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপি নেতৃত্ব একাধিক টুইট ও বিবৃতি দিয়ে ঘটনার কড়া নিন্দা করে। সাধারণ মানুষও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকে। ওইদিনই পুলিশ রাজু গায়েন ও লালু মল্লিক নামে দুই ব্যক্তিকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে। জানা গেছে, লালুর বাড়ি আলতাড়ায়, আর রাজু থাকেন মাঝেরপাড়ায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজু তৃণমূলের কর্মী হিসেবেই পরিচিত।
‘লালু’র প্রকৃত নাম অভিজিৎ চক্রবর্তী। তিনি বিজেপির উদয়নারায়ণপুর ৫ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, “ওই সিভিক ভলান্টিয়ার সম্ভবত মদ্যপ অবস্থায় তৃণমূলকে গালিগালাজ করছিল। তখন কয়েকজন মিলে ওকে মারধর করে এবং আমার নাম বলিয়ে নেয়। আমার কোনও ভূমিকা নেই, আমাকে ফাঁসাতে চাইছে ওরা।”
অন্যদিকে, বসন্তপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি হাসান সামিউল্লাহ বলছেন, “এই ঘটনায় রাজনীতির কোনও জায়গা নেই। ওই সময় আমাদের কার্যালয়ে কেউ ছিল না। স্থানীয় মানুষজনই হয়তো ক্ষোভে ওই কাজ করেছে। সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল।”