শেষ আপডেট: 15th December 2019 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলায় সাংবিধানিক সংকট কি ক্রমশই অনিবার্য হয়ে উঠছে? সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় পরস্পরকে যে ভাষায় চিঠি লিখলেন, তার পর সেই আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বাংলায় যে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে তা নিয়ে বিশদে জানতে সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিরেক্টরকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্যপালের সেই তলব তোয়াক্কা করেননি প্রশাসন ও পুলিশের এই দুই শীর্ষকর্তা। তাতে অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল এর পর কাল মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে তলব করে নবান্নে চিঠি পাঠান। তিনি কাল রাজভবনে যাবেন কিনা তার স্পষ্ট উত্তর না দিয়ে এর পর রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গেই আবার সেই চিঠির পাল্টা উত্তর দেন রাজ্যপাল। এবং দু’জনেই সেই চিঠি প্রকাশ করেও দেন। চিঠিতে কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? রাজ্যপালকে লেখা সংক্ষিপ্ত চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের সিনিয়র অফিসারদের সমালোচনা করে আপনি ঘন ঘন যে সাংবাদিক বৈঠক করছেন ও টুইট করছেন, তা দেখে আমি খুবই মর্মাহত। আপনি নিশ্চয়ই বুঝবেন যে গোটা দেশে যে পরিস্থিতি চলছে তার নিরিখে রাজ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখাটাই এখন প্রশাসনের মূল লক্ষ্য”। এর পরেই রাজ্যপালকে খোঁচা দিয়ে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আমি মনে করি শান্তি ও সদ্ভাবের পরিবেশ বজায় রাখতে রাজ্য সরকারের পাশে থাকাটাই সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা, বিশেষ করে যারা শৃঙ্খলার পরিবেশকে নষ্ট করতে চাইছে তাদের উস্কানি না দেওয়াটাই কর্তব্য। দয়া করে শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করুন।” মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির শেষ লাইনের বার্তা পরিষ্কার। অনেকের মতে, মমতা বোঝাতে চেয়েছেন রাজ্যপাল আসলে উস্কানি দেওয়ার কাজটাই করছেন। নবান্নের ওই চিঠি পাওয়ার পর রাজ্যপালও জবাব দিতে আধ ঘন্টার বেশি সময় নেননি। চিঠিতে তিনি লেখেন, “আপনার চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে যেভাবে আপনি তির্যক উক্তি করেছেন তা পড়ে আমি বিস্মিত শুধু নই, প্রচণ্ড মর্মাহতও হয়েছি। আপনি যা বোঝাতে চেয়েছেন তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই তাই অনুরোধ করছি আপনি আত্মসমীক্ষা করুন।”