শেষ আপডেট: 9th November 2024 16:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পরিচালন ব্যবস্থাতেই গলদের অভিযোগ উঠেছিল প্রথম থেকেই। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি করল কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির চূড়ান্ত রিপোর্ট। সিআরএস রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে, মালগাড়ির চালকের কোনও অন্যায় ছিল না। দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলকর্মীরা যদি একটু নিয়ম মেনে চলতেন তাহলে কখনওই এত বড় দুর্ঘটনার মুখোমুখি হত না কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে।
গত ১৭ জুন উত্তরবঙ্গের নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। যে লাইন দিয়ে এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাচ্ছিল সেই একই লাইনে আচমকাই ঢুকে পড়ে একটি মালগাড়ি। তারপর সেটি পিছন থেকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে।
ধাক্কার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা উঠে পড়ে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর। লাইনচ্যুত হয় মালগাড়ির কামরাও। কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড এবং মালগাড়ির চালক-সহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন কমপক্ষে ৫০ জন।
যদিও প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার দায় প্রথমে মালগাড়ির চালক ও সহকারী চালকের উপরেই চাপিয়েছিল ভারতীয় রেল। কিন্তু এদিন চূড়ান্ত রিপোর্টে তাঁদের ক্লিনচিট দেওয়ার পাশাপাশি সিআরএস রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, সার্বিক গাফিলতির কারণেই ১৭ জুন ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
চূড়ান্ত রিপোর্টে বেশ কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। সেখানে যেমন দুর্ঘটনার জন্য নিউ জলপাইগুড়ির লোকো ইনস্পেক্টর, রাঙাপানি স্টেশনের কর্মী এবং ট্র্যাফিক ইনস্পেক্টরদের কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। পাশাপাশি সিআরএসের চূড়ান্ত রিপোর্ট স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, অটোমেটিক সিগন্যাল যখন খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে ট্রেন পরিচালনায় একাধিক গাফিলতি হয়েছিল। রাঙাপানি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী এবং আধিকারিকরা মালগাড়ির চালককে ঠিকমতো নির্দেশ দেননি।
পাশাপাশি ওই সময় যে ধীর গতিতে যে ট্রেন চালাতে হবে, তা বুঝতে পারেননি মালগাড়ির চালক। অটোমেটিক সিগন্যাল কাজ না করলেও কোনওরকম সতর্কতাবার্তা দেওয়া হয়নি বলে খবর। যার ফলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে মালগাড়ি।
এর আগে গত জুলাই মাসে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য সুরক্ষা কমিশনার রেল বোর্ডের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেন। সেই রিপোর্টেও সামগ্রিক পরিচালন ব্যবস্থাতেই গলদ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এবার চূড়ান্ত রিপোর্টেও সেই অভিযোগ সত্যি প্রমানিত হল।