প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 14 January 2025 07:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গতকাল নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানিয়ে দেন, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন কাণ্ডের তদন্ত করবে রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। ঘোষণা হয়েছিল সোমবার সন্ধেবেলা। মঙ্গলবারই হাসপাতালে পৌঁছলেন সিআইডি-র আধিকারিকরা।
বিষাক্ত স্যালাইনে তিন প্রসূতির অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। সংক্রমণের কারণে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধছে না। ঠিক মতো কাজ করছে না ফুসফুস-কিডনিও। এসএসকেএম হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে রয়েছেন নাসরিন খাতুন ও মাম্পি সিংহ। কাদের গাফিলতিতে প্রসূতিদের এই পরিস্থিতি? কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা, সবটা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
এদিকে আজই স্বাস্থ্য ভবনে সাড়ে পাঁচ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের বিশেষ তদন্তকারী দল। যেখানে বলা হচ্ছে রিঙ্গার ল্যাকটেট পরিশ্রুত না থাকার কারণেই বিপত্তি হয়েছে। আর দোসর 'ওভার ডোজ অফ অক্সিটোসিন'।
রিপোর্টে এও বলা হচ্ছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগের ওটিতে কর্তব্যরত ছিলেন একজন আরএমও। তিনিই সিনিয়র চিকিৎসক। তাঁরই অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল। কিন্তু যে সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ওই আরএমও ওটিতে ঢুকছেন। কিন্তু তিনি ওটিতে ছিলেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। অস্ত্রোপচার করেছেন ট্রেনি ডাক্তাররা। তাহলে তিনি ছিলেন কোথায়? সেই বিষয়টা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
কালকের নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে কার্যত ‘গাফিলতি’র কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন রাক্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে স্যালাইনের মধ্যেই কোনও গন্ডগোল হয়েছিল, নাকি সিনিয়র ডাক্তার না থাকার গাফিলতিতেই আদতে এত বড় কাণ্ড ঘটে গেছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সিআইডি-কে তদন্তভার দেন তিনি। আশ্বাস দেন দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।