শেষ আপডেট: 18th November 2021 02:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চার চার খানা গ্রাম ভুটান সীমান্তে। চিনের লাল ফৌজের থাকার বন্দোবস্ত একেবারে পাকা। নির্মাণকাজ এখনও চলছে। নতুন উপগ্রহ চিত্রে ধরা দিয়েছে এমনটাই। গত এক বছর ধরে ভুটান সীমান্তে একটু একটু করে জনপদ তৈরি করেছে চিন (Chinese Landgrab)। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে একাধিক ছোট ছোট গ্রাম তৈরি হয়েছে। চিন-ভারত সেনা কম্যান্ডার পর্যায়ে আলোচনার পরেও লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। নতুন করে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে চিন, পাশাপাশই সেনাদের থাকার মতো অস্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করতেও দেখা গেছে। উপগ্রহ চিত্র বলছে, ভুটান সীমান্তেও চিনের বাহিনীর একই রকম সক্রিয়। ভারত-ভুটান সীমান্তে ডোকলাম মালভূমিতে চিনা বাহিনীর রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ করেছিল ভারত। তারই ফলস্বরূপ মাস দুয়েক মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একে অপরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিল দুই দেশের বাহিনীই। সে টানাপড়েনের কূটনৈতিক সমাধান হয়েছিল অন্তত এক বছর পরে। ফের তেমনই কোনও পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে কিনা সেই আশঙ্কাই করছেন কৌশলগত বিশেষজ্ঞরা। ২০২০ সাল থেকে ভুটান সীমান্তে একাধিক ছোট ছোট গ্রাম তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। উপগ্রহ চিত্র থেকে আরও স্পষ্ট, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জনপদ গড়ে তুলেছে চিনের বাহিনী।গত বছর উপগ্রহ চিত্র দেখিয়েছিল ডোকলামের কাছে নিজেদের সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করছে চিন। এখন দেখা যাচ্ছে, ভুটানের ভেতরেও ক্রমশ নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া। https://twitter.com/detresfa_/status/1460970809871134727?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1460970809871134727%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.ndtv.com%2Fworld-news%2Fchinese-landgrab-on-bhutanese-territory-4-villages-built-in-1-year-2615065 গ্রাম শুধু নয় তার লাগোয়া রাস্তাও তৈরি করছে চিন। ডোকলাম মালভূমির যে জায়গা নিয়ে অশান্তি বেঁধেছিল নতুন গ্রাম তৈরি হয়েছে তার কিছু দূরেই। উপগ্রহ চিত্র জানান দিয়েছে, চিন ও ভারতীয় বাহিনী যেখানে ৭৩ দিন মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল তার থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বেই রয়েছে ওই গ্রাম। কঙ্গনার ‘স্বাধীনতা’ মন্তব্যে উস্কে দিচ্ছে ৭৫ বছর আগের বিতর্ক ভারতের সেনা সূত্র জানাচ্ছে, গালওয়ানে সংঘাতের আগে থেকেই ডোকলাম নজরে ছিল চিনের বাহিনীর। চিন-ভুটান সীমান্তের মধ্য ও পশ্চিম সেক্টরে বহুদিন ধরেই তৎপর লাল ফৌজ। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুটানকে চাপে রাখতেই চিনের এই কৌশল। পূর্ব লাদাখের একটা বড় অংশ চিন যেমন নিজেদের বলে দাবি করে, তেমনি চিন-ভুটান সীমান্তের পশ্চিম সেক্টরে ৩১৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ও মধ্য সেক্টরের ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় চিন নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া। ওই এলাকায় নিয়মিত টহলদারির পাশাপাশি সেনা মোতায়েনের জন্য পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হয়েছে বলে খবর। ডোকলামের ঘটনার পরে পশ্চিম সেক্টরে ভুটানের পাঁচটি এলাকায় চিনা ফৌজের অনুপ্রবেশের খবরের মিলেছিল। চুম্বি উপত্যকায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে চিন রাস্তা তৈরি করেছে বলে অভিযোগ। তোর্সা নদীর ধারে যা চিন-ভুটান সীমান্ত থেকে দক্ষিণ দিকে চলে গেছে সেখানে চিনা বাহিনী নতুন করে রাস্তা বানাচ্ছে বলে খবর মিলেছে। উপগ্রহ চিত্র আরও দেখিয়েছে, ডোকলামের কাছে টানেল তৈরি করছে চিনের বাহিনী। ডোকলাম সীমান্তে যে রাস্তা তৈরি নিয়ে বিতর্কের শুরু হয়েছিল, সেই রাস্তা লাগোয়াই টানেল বানাচ্ছে চিন। মেরুগ লা-র কাছে অন্তত ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য সেই টানেলের। শীতে সেনাদের আশ্রয় নেওয়ার জন্যই ওই টানেল তৈরি হচ্ছে বলে অনুমান। পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'