শেষ আপডেট: 25th September 2020 07:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো : একমাসেরও বেশি পরে চিনে ফের করোনার দুই অ্যাসিম্পটোম্যাটিক রোগীর সন্ধান মিলল। অর্থাৎ তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হলেও তাঁদের দেহে রোগের উপসর্গ নেই। চিনে যে দু'জন অ্যাসিম্পটোম্যাটিক রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, তাঁরা বন্দরকর্মী। কিছুদিন আগে বন্দরে ফ্রোজেন সি ফুড ভর্তি জাহাজ এসেছিল। সেই সি ফুডের মাধ্যমেই দু'জন সংক্রমিত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চিনের শাংডং প্রদেশের কুইংডাও শহরে বন্দরকর্মীদের রুটিন চেক আপের সময় দু'জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। ২০ অগাস্টের পরে এই প্রথমবার চিনে অ্যাসিম্পটোম্যাটিক কেস ধরা পড়ল। গত ১৫ অগাস্ট থেকে চিনে স্থানীয়ভাবে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। চিনে করোনা আক্রান্তদের সিম্পটোম্যাটিক ও অ্যাসিম্পটোম্যাটিক, দু'টি ভাগে ভাগ করা হয়। অ্যাসিম্পটোম্যাটিকদের মধ্যে যদি পরে রোগের লক্ষণ দেখা যায়, তাদের সিম্পটোম্যাটিক তালিকায় আনা হয়। কুইংডাও শহরে দুই সংক্রামিতের খোঁজ মেলায় প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি আমদানি করা পণ্যের মাধ্যমে করোনা ছড়াচ্ছে দেশে? একটি সূত্রে জানা যায়, আমদানি করা সি-ফুড, মাংস ও যে কন্টেনারে সেসব রাখা হয়েছিল, তার মধ্যে করোনার জীবাণু মিলেছে। গত কয়েক সপ্তাহে ইকুয়েডর, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ করেছে চিন। কারণ তাদের পণ্যে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনস্ট্রেশন জানিয়েছে, খাবার অথবা ফুড প্যাকেজিং-এর মাধ্যমে করোনা ছড়ায় না। অন্যদিকে চিনের গবেষকরা বলেছেন, চিলড স্যালমন মাছের মধ্যে এক সপ্তাহ পর্যন্ত করোনাভাইরাস জীবিত থাকতে পারে। কীভাবে কোল্ড স্টোরেজ ও বন্দরের কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তা এখনও জানা যায়নি। কয়েক মাস আগে চিনের বেজিং ও দালিয়ান শহরে নতুন করে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। যাঁরা আমদানি করা খাবারের বাজারে কাজ করেন, মূলত তাঁদের দেহেই সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি, কেন তাঁরা সংক্রামিত হলেন। নিউ জিল্যান্ডে ১০২ দিন স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ হয়নি। কিন্তু গত মাসে অকল্যান্ডে এক কোল্ড স্টোরেজ প্ল্যান্টের জনৈক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু প্রমাণ পাননি যার দ্বারা নির্দিষ্ট করে বলা যায়, আমদানি করা কোনও খাবার থেকেই প্ল্যান্টের কর্মী সংক্রমিত হয়েছেন। চিনের কুইংডাও শহরের হেলথ কমিশন জানিয়েছে, সংক্রমিত দুই বন্দরকর্মীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন ১৩২ জনকে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২৯ জনের সোয়াব টেস্টে নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে।