দ্য ওয়াল ব্যুরো: চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) (china) (pla) হাতে অপহৃত (abduction) অরুণাচল প্রদেশের (arunchal pradesh) আপার সিয়াং জেলার ১৭ বছরের ছেলে মিরাম তারোমের মুক্তির (release) ব্যাপারে কোনও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই নেই বেজিংয়ের (beijing)। ভারতীয় সেনাবাহিনী (indian army) ছেলেটিকে খুঁজে বের করে ফিরিয়ে দিতে পিএলএ-র সাহায্য চাইলেও ঘটনাটি তাদের জানাই নেই, পরিষ্কার বলে দিল চিনা বিদেশমন্ত্রক (foreign ministry)। উল্টে সাংবাদিক বৈঠকে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান ভারতের দিকে আঙুল তোলেন। বলেন, পিএলএ আইন মেনেই সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করে, বেআইনি ভাবে চিনে ঢোকা ও বেরনোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। লিঝিয়ান এও বলেন, চিন সর্বদাই দক্ষিণপশ্চিমের স্বশাসিত শিজাং এলাকার দক্ষিণ অংশ ঝাংনানে ভারতের বেআইনি দখলদারির বিরোধিতা করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস-এ প্রকাশিত রিপোর্টে লেখা হয়, কিছু ভারতীয় সাংসদ প্রচার পাওয়ার লোভে, নিজেদের ভোটারদের খুশি করে চিন-বিরোধী মানসিকতায় ইন্ধন জোগাতে প্রায়ই অযৌক্তিক কথা বলে থাকেন। তারপর লিঝিয়ানও ভারতকে দুষলেন।
চিনা বিদেশমন্ত্রক ২০২০র সেপ্টেম্বরে ৫ ভারতীয় শিকারীর অপহরণের উল্লেখ করেও দাবি করে, শিকারীর ছদ্মবেশে আসলে ওরা ছিল ভারতের গুপ্তচর।
চিনা বাহিনীর লুঙ্গটা জোর এলাকায় মিরাম নামে ছেলেটিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা প্রথম ট্যুইট করেন অরুণাচলের বিজেপি এমপি টাপির গাও। তিনি মিডিয়াকে জানান, মিরামের বন্ধু জনি ইয়াইইং চিনা বাহিনীর খপ্পর থেকে পালিয়ে এসেই তার আটকে পড়ার কথা বলেছে।
এদিকে অরুণাচলের মুখ্য়মন্ত্রী পেমা খান্ডু বিদেশ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক বিষয়টি দেখছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাওয়া যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই ছেলেটি ছাড়া পাবে বলে আশাবাদী খান্ডু।
এদিকে অরুণাচলের কিশোরের অপহরণের ব্যাপারে কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘নীরব’, প্রশ্ন তুলে তাঁকে বিঁধছে কংগ্রেস।