শেষ আপডেট: 29th June 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সীমান্তে রাশিয়ার থেকে কেনা এস-৩০০ ও এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে চিন। তিব্বতের কাছে এয়ারবেসে চিনা বায়ুসেনার তৎপরতাও দেখা গেছে। এদিকে চিনের রেড আর্মি সীমান্ত পেরিয়ে ক্রমশই ঢুকে আসছে ভারতীয় ভূখণ্ডে। চিনা বাহিনীর আস্ফালণ যতই বাড়ুক, চুপ করে বসে নেই ভারতও। আকাশসীমাকে সুরক্ষিত করতে ইতিমধ্যেই এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চক্কর কাটছে ভারতীয় বায়ুসেনার একাধিক কমব্যাট ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট। কৌশলগত পদক্ষেপে চিনের থেকেও কয়েক কদম এগিয়েই আছে ভারতীয় বায়ুসেনা। মেজর জেনারেল ডক্টর জিডি বক্সী (অবসরপ্রাপ্ত) গতকাল টুইট করে জানিয়েছিলেন, ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেখে চিনের বায়ুসেনা (পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স) রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক এস-৩০০ ও এস-৪০০ এয়ার ওয়েপন সিস্টেম মোতায়েন করেছে। তাছাড়াও চিনের কাছে আছে এলওয়াই ৮০ ও আরও কিছু এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। তবে ভারতীয় বায়ুসেনাকে টক্কর দেওয়া অত সহজ নয়। ভারত অনেক আগে থেকেই পূর্ব লাদাখ সীমান্তে আকাশসীমাকে সুরক্ষিত রাখার কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের বাহিনীর মুখোমুখি সংঘাতের আগে থেকেই লাদাখে টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা শুরু করেছিল ভারতীয় বাহিনী। সেই সঙ্গে সুখোই, মিরাজ, মিগ-২৯ এর যুদ্ধবিমানও তৈরি রাখা হয়েছে। নামানো হয়েছে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ও সশস্ত্র হেরন ড্রোন। https://twitter.com/GeneralBakshi/status/1277663625377792000?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1277663625377792000%7Ctwgr%5E&ref_url=https%3A%2F%2Ftheprint.in%2Fdefence%2Fchina-deploys-s-400s-iaf-has-war-gamed-the-scenario-multiple-times-for-air-ops%2F451417%2F অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেলের কথায়, ১৪ হাজার থেকে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় গালওয়ান উপত্যকায় যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করা ও রণকৌশলের দিকে থেকে চিনা বাহিনীর থেকে অনেকটাই এগিয়ে ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনা। কারণ চিনা বাহিনীকে বহুদূর থেকে সামরিক সরঞ্জাম বয়ে আনতে হচ্ছে। অথচ পূর্ব লাদাখের কাছেই পঞ্জাব, হরিয়ানা, কাশ্মীর, লেহ-সহ ভারতের একাধিক এয়ারবেস রয়েছে যেথান থেকে সামরিক সরঞ্জাম উড়িয়ে আনা অনেক বেশি সহজ। লাদাখ সেক্টরে সবসময়েই দুই দেশের বাহিনী মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর প্যাঙ্গং লেকের ফিঙ্গার পয়েন্টগুলিতে টহলদারি নিয়ে প্রায়ই দুই বাহিনীর মধ্যে ঝামেলা লেগে যায়। তাছাড়া ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাকে নিজেদের দাবি করে মাঝেমধ্যেই চিনা ফৌজ ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। তাই সীমান্ত সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলে কীভাবে তার মোকাবিলা করা হবে সেই প্রস্তুতি আগে থেকেই করে রাখে ভারতীয় বাহিনী। আর ভারতীয় বায়ুসেনার সামরিক শক্তি এবং স্থলবাহিনী বিশেষত ঘাতক মাউন্টেন ফোর্সের শক্তির কথা স্বীকার করে চিনও।