শেষ আপডেট: 14th September 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের পঞ্চম প্রজন্মের জে-২০ চেংড়ু যুদ্ধবিমানের আনাগোনা দিনকয়েক ধরেই লক্ষ্য করেছিল ভারতীয় সেনা। বিশেষত, দক্ষিণ প্যাঙ্গংয়ে নতুন করে অশান্তি বাঁধাবার আগে পাহাড়ি এলাকার উপরে চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছিল দুটি জে-২০ ফাইটার জেটকে। চিনের কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টের মোকাবিলায় ভারত তার আধুনিক প্রজন্মের মিরাজ, সুখোই, মিগ-২৯ আগেই তৈরি রেখেছে। ভূমি থেকে আকাশে লক্ষ্যভেদ করতে পারে এমন মিসাইল সিস্টেমও মোতায়েন করেছে ভারত। তাই সব দিক দেখে চিন এখন তাদের এইচ-৬ বোমারু বিমান উড়িয়েছে সীমান্তের কাছে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা তথা এলএসি বরাবর চিনের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার আকাশে বোমারু বিমান চক্কর দিচ্ছে এমন ছবি সামনে এনেছে ‘মিলিটারি ওয়াচ ম্যাগাজিন’। পিপলস লিবারেশন আর্মির সেন্ট্রাল থিয়েটার কম্যান্ড এইচ-৬ যুদ্ধবিমানের ছবি সামনে এনেছে। ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনে প্রায় ২৭০টি এমন এইচ-৬ বোমারু বিমান আছে। ক্রুজ মিসাইল ছোড়া যায় এই বিমান থেকে। লাদাখে ভারতের এয়ার ডিফেন্স দেখে এখন এইচ-৬ সামনে এনে চ্যালেঞ্জ ছোড়ার চেষ্টা করছে চিন।
[caption id="attachment_259764" align="aligncenter" width="650"] এইচ-৬ বোমারু বিমান[/caption]
এই জাতীয় যুদ্ধবিমান সেই ১৯৫৮ সালেই তৈরি হয়েছিল চিনে। বানিয়েছিল জিয়ান এয়ারক্রাফ্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন। দূরপাল্লা অবধি মিসাইল ছুড়তে পারে এই বিমান। মাঝ আকাশে তেল ভরতে পারে। আকাশসীমাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য নজরদারিও চালাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচ-৬ বোমারু বিমান থেকে সিজে-২০ ক্রুজ মিসাইল ছোড়া যায়। এই মিসাইলের ওয়ার-হেড ৫০০ কিলোগ্রাম, পাল্লা প্রায় ২০০০ কিলোমিটার। প্রচণ্ড গতিতে ছুটে গিয়ে লক্ষ্যে আঘাত করতে পারে এই মিসাইল। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় এক সময় এই জাতীয় বোমারু বিমান মোতায়েন করেছিল চিন।