শেষ আপডেট: 11th November 2024 19:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ট্যাবের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পড়ুয়াদের প্রাপ্য টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে না গিয়ে যাচ্ছে অন্যদের পকেটে! এমন অভিযোগ এই মুহূর্তে রাজ্যে শোরগোল। তাই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নিতে সোমবারই বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও।
ট্যাব নিয়ে রাজ্যে প্রায় ২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার মূলত ৫টি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের স্কুল শিক্ষা আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ছাড়াও স্বরাষ্ট্রসচিব, শিক্ষাসচিব, প্রাক্তন শিক্ষাসচিব ছিলেন।
কী হল এই বৈঠকে?
এক জেলা থেকে অন্য জেলায় টাকা চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যে এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র নাকি যান্ত্রিক ত্রুটি। রাজ্য সরকারি বিষয়টির গভীর পর্যন্ত যেতে চায়। এই বৈঠকে পুলিশকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত ধরতে হবে এবং সঠিক তদন্ত করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে হবে।
এর পিছনে সত্যি যদি কোনও চক্র কাজ করে, তাহলে সেই চক্রে কারা জড়িত সেটাও তাড়াতাড়ি প্রকাশ্যে আনতে হবে পুলিশকে। ফোর্সকে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বৈঠক থেকে।
'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পে শুধুমাত্র ট্যাবের টাকা নয়ছয় হয়নি, 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার', 'কৃষক বন্ধু', 'বার্ধক্য ভাতা' সহ রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের টাকাও নাকি উপভোক্তারদের কাছে না পৌঁছে চলে গিয়েছে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে। ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এই প্রেক্ষিতেই টাকা পাঠানোর পদ্ধতি কীভাবে আরও শক্তিশালী এবং ত্রুটিমুক্ত করা যায়, যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেই বিষয়টিও সোমবারের বৈঠক থেকে ভেবে দেখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, যে পদ্ধতিতে এতদিন টাকা পাঠানো হয়েছে তাতে কী গলদ রয়েছে সেই বিষয়টিও খুঁটিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
পাঁচটি জেলার যে সমস্ত স্কুলগুলি থেকে মূলত ট্যাবের টাকা নিয়ে অভিযোগ এসেছে সেই সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার কথা ভাবা হয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে কারও কোনও ভুল ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।