শেষ আপডেট: 18th September 2024 12:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত কয়েকদিনের টানা বৃ্ষ্টি এবং ব্যারেজের ছাড়া জলে প্লাবিত একাধিক জেলা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় তৎপর প্রশাসন। এবার বন্যা পরিস্থিতির হাল হকিকৎ খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, বেলা ১২টার কিছু পরে কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি। দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। সেখানে থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হুগলির খানাকুলে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেও যেতে পারেন খবর।
মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে বুধবার কয়েক হাজার কিউসেক জল বেশি ছাড়া হয়েছে। মঙ্গলবারের তুলনায় কম জল ছাড়া হলেও ফের একবার বন্যা পরিস্থিতি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে। মঙ্গলবার এই দুই জলাধার থেকে মোট ২ লক্ষ ৭৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। বুধবার অন্তত ৪০ হাজার কিউসেক কম জল ছাড়া হয়েছে। তবে জলের চাপ বাড়তে থাকলে পরবর্তী সময়ে আরও বেশি পরিমাণ জল ছাড়া হবে বলেও আভাস মিলেছে।
এই অবস্থায় নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বর্ধমান-সহ দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায়। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা থেকে মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলাগুলিতে নজরদারির জন্য বিশেষ সচিবদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্লাবন পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের ১০ জেলায় ১০ জন সচিবকে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান আলাপন। প্লাবনের আতঙ্ক যদিও এখনও কাটছে না। পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও ঝাড়খণ্ডে তা আগের মতোই চলছে। তাই অনুমান করাই হচ্ছে, বৃষ্টির পরিমাণ যদি আরও বাড়ে, তাহলে ডিভিসি থেকে আরও জল ছাড়া হতে পারে। এবার বন্যা পরিস্থিতি সরোজমিনে খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলের পথে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।