শেষ আপডেট: 18th February 2025 21:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, "ওদের নাকি বলতে দেওয়া হয় না! আর কত বলবেন?"
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আপনারা আবার বড় বড় কথা বলেন কী করে! একটা ধর্মকে বিক্রি করে তো খাচ্ছেন! মনে রাখবেন, আমরা সব ধর্মকে সম্মান করি।"
মঙ্গলবারও বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সাম্প্রদায়িক বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর অভিযোগ, তৃণমূলের সরকারের মদতেই বাংলায় জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত। এদিন ওই প্রসঙ্গে মমতার পাল্টা চ্যালেঞ্জ, "আমার সঙ্গে জঙ্গীদের সম্পর্ক আছে? প্রমাণ দিলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে দেব।"
বিরোধী দলনেতার এই ধরনের মন্তব্যের বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকেও চিঠি লিখবেন বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, "বাংলায় মাফিয়াদের কোনও জায়গা নেই। সন্ত্রাসকারী, দাঙ্গাকারীদের আমরা জায়গা দিই না।"
স্পিকারকে লক্ষ্য করে সোমবার বিধানসভায় কাগজ ছোড়ার অভিযোগ ওঠে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে। যে কারণে শুভেন্দু-সহ চার বিজেপি বিধায়ককে সোমবার থেকে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। ওই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অতীতে বাম জমানায় তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও লোকসভায় কাগজ ছুড়েছিলেন ও বিধানসভায় ভাঙচুর করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু।
এদিন বক্তৃতার শুরুতে ওই প্রসঙ্গেরও জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি যখন কাগজ ছুড়েছিলাম, তখন আমি একা ছিলাম। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম আমাকে একটা কথা বলতে দিত না। অথচ ৩৯ শতাংশ ভোট ছিল আমাদের। একটা বক্তব্য রাখতে দেওয়া হত না। একটা প্রশ্নও করতে দেওয়া হত না। বাধ্য হয়েই ওটা করতে হয়েছিল।"
মমতা এও বলেন, "আমি নাকি চেয়ার টেবিল ভেঙেছি। আমি এর প্রমাণ দেওয়ার কথা অধ্যক্ষকে বলেছি। আমি সেদিন সিঙ্গুর থেকে এখানে এসেছিলাম। আমাকে সিঙ্গুরে থাকতে দেয় নি। আমি এখানে তখন বিরোধী দলনেতা পার্থদার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল।"
এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এখন তো তেমন পরিস্থিতি নেই। আমরা তো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সবাইকে বলতে দেওয়া হয়। কিন্তু শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হলে কী বা বলা যেতে পারে!"
মমতা এও বলেন, "কথা বলাও একটা আর্ট। এটা একটা শিল্প। বক্তৃতা মানে কাউকে আঘাত করা, সাম্প্রদায়িকভাবে ভাগ করে দেওয়া নয়। ওরা সেটাই করে। ওরা ধর্ম বিক্রি করে রাজনীতি করে খেতে চায়।"