মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ আপডেট: 25th October 2024 19:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুজোর মুখে অতি বৃষ্টিতে বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। সে সময় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করে আচমকা হাওড়়া, হুগলি, মেদিনীপুরের দুর্গত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন সূত্রের খবর, ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটে দুই মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাংশ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, আবহাওয়ার উন্নতি হলে শনিবারই আকাশ পথে দুর্যোগ এলাকায় পৌঁছতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। না হলে সোমবারও যেতে পারেন।
দানার দাপটে দুই মেদিনীপুর এবং এবং দুই ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ওপর ভারী বৃষ্টির জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ফের বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় ক্ষয়ক্ষতির সার্ভে দ্রুত করার জন্য প্রশাসনকে ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
বস্তুত, বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে রাতভর নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্যোগের মোকাবিলায় জেলায় জেলায় থাকা প্রশাসনের টিমের কাজকর্ম নবান্ন থেকে নিজে মনিটরিং করেছেন তিনি। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, "উনি এরকমই। ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করতে পারেন!"
ওই কর্তা বলেন, "বৃহস্পতিবার বিকেলেও আমরা জানতাম না যে উনি সারা রাত নবান্নে থাকবেন। যেভাবে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে আবার বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে দুর্গত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আমরা প্রাথমিক প্রস্তুতি সেরে রেখেছি।"
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান,আগামীকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টা ফিল্ড সার্ভে করে তারপর ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিমাণ জানা সম্ভব হবে। আগের বন্যা এবং এখনকার এই সাইক্লোন দুটো নিয়েই এই সার্ভে করা হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বারবার ত্রাণ শিবিরে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, "দ্রুত দুর্যোগ কেটে যাবে। তবে সাধারণ মানুষের কাছে সবরকম পরিষেবা পৌঁছে দিতে যেন দেরি না হয়।’
বস্তুত, দানার প্রভাবে এখনও কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হবে হাওড়া, হুগলিতেও। ফলে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারেও জেলা ও ব্লক প্রশাসনকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।