শেষ আপডেট: 17th September 2024 16:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার আরজি কর ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক করেছে জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের ৫ দফা দাবির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ এবং দুই স্বাস্থ্যকর্তাকেও সরিয়ে দেওয়া। সোমবারই বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সরকার ডাক্তারদের দাবিতে রাজি হয়েছে এবং এঁদের সকলকেই সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরেই নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে মনোজ ভার্মাকে কলকাতা পুলিশের নতুন কমিশনার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মতো স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ডিএইচএস) দেবাশিস হালদার এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তুভ নায়েক (ডিএমই)-কেও সরিয়ে দিয়েছে নবান্ন। রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্য অধিকর্তা হয়েছেন স্বপন সোরেন। এদিকে কৌস্তুভ নায়েককে বসানো হয়েছে ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেরার-এর ডিরেক্টর পদে এবং দেবাশিস হালদারকে জনস্বাস্থ্যের ওএসডি পদে। নতুন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা হয়েছেন সুপর্ণা দত্ত।
সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে অঙ্গীকার করেছে। হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ কায়েম করার ব্যাপারেও সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির সঙ্গে গোড়া থেকে সহমত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে তিন দফার নিষ্পত্তি হয়ে গেছিল আগেই।
মূল আড়ষ্টতা ছিল দুটি বিষয়ে। তা হল, কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরানোর প্রস্তাব এবং স্বাস্থ্য সচিব, ডিরেক্টর হেল্থ সার্ভিসেস ও ডিরেক্টর মেডিক্যাল এডুকেশন পদে এখন যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সরানো। স্বাস্থসচিব ছাড়াও আপাতত সকলকেই সরিয়ে দিয়েছে নবান্ন।