শেষ আপডেট: 21st September 2023 16:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিনের শেষে ঘুমের দেশে চলে গিয়েছিল তারা। কথা ছিল, ভোর হলেই চোখ মেলবে আবার। ২২ সেপ্টেম্বর হল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ধীরে ধীরে আঁধার কেটে আলো ফোটার কথা সেদিনই। আর তখনই যে ঘুম থেকে ওঠার কথা তাদের। এখনও যে অনেক কাজ বাকি! কিন্তু উঠবে কি (Vikram Praggan)?
গত ২৩ অগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছিল ভারতের চন্দ্রযান ৩ (Chandrayan 3)। তারপরেই ল্যান্ডার বিক্রমের থেকে আলাদা হয়ে গুটিগুটি পায়ে হাঁটতে শুরু করেছিল রোভার প্রজ্ঞান। ছোট্ট ছোট্ট পায়ে ১০০ মিটার হেঁটে ফেলেছিল সে, চাঁদের বুকে সেলফিও তুলে পাঠিয়েছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে। সঙ্গে চন্দ্রপৃষ্ঠে গবেষণালব্ধ ফল তো পাঠিয়েছিল বটেই। কিন্তু দিন দশেক যেতে না যেতেই বিজ্ঞানীরা ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিক্রম-প্রজ্ঞানকে।
আসলে চাঁদের বুকে তখন রাত নামছিল। সেই সময় গবেষণা করা যাবে না। কাজ করবে না সৌর প্যানেলও। তাই ল্যান্ডার এবং রোভার দুটি যন্ত্রকেই পুরোপুরি চার্জ দিয়ে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২২ তারিখ চন্দ্রপৃষ্ঠে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ঘুম ভেঙে সক্রিয় হওয়ার কথা ছিল তাদের। ইসরোর বিজ্ঞানীরা আশাবাদী ছিলেন এ ব্যাপারে, তাঁরা জানিয়েছিলেন, বিক্রম-প্রজ্ঞান সক্রিয় হলেই কাজ করা শুরু করবে সোলার প্যানেল। ফলে সৌরশক্তিতে বলীয়ান হয়ে ফের কাজ শুরু করতে পারবে তারা।
ইতিমধ্যেই চাঁদে ভোর হয়েছে, আলো ফুটতে শুরু করেছে। কিন্তু বিক্রম-প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙা নিয়ে সন্ধিহান বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, চাঁদের বুকে রাত নামলে তাপমাত্রা কখনও কখনও হিমাঙ্কের ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিংবা আরও নীচে নেমে যায়। সেই ভয়ঙ্কর ঠান্ডায় কোনও যন্ত্রের সক্রিয় থাকার কথা নয়। তবে আশা ছাড়ছেন না ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। আপাতত বিষয়টি বোঝার জন্য আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
নদীতে জাল ফেলতেই উঠল মদের বোতল! সেই মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন পাঁচ বন্ধু