শেষ আপডেট: 14th October 2024 13:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্বাস্থ্য দফতরের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ আরজি কর থেকে সাসপেন্ড হওয়া ৫১ জুনিয়র চিকিৎসক। এদের সবাইয়ের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচারে’ জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ রায়ের ঘনিষ্ঠও।
সোমবার মামলা দায়ের করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পার্থসারথী সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বিচারপতি সেন তাঁদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বলে খবর। আগামী ১৮ অক্টোবর মামলার শুনানি রয়েছে।
আরজি কর হাসপাতালে 'থ্রেট কালচার' চালানোর অভিযোগ ওঠার পর ৫১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরে তাঁদের বহিষ্কার করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। অভিযোগ, এদের সবার বিরুদ্ধে ভয় দেখানো, গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করার মতো একাধিক অভিযোগ ছিল। পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস সহ ৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিশ।
এর আগে সাংবাদিক বৈঠক করে সাসপেন্ডেড জুনিয়র চিকিৎসকরা দাবি করেন, প্রকৃত তথ্য এবং প্রমাণ লোপাট করিয়ে দিয়ে তাঁদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। এখন তাঁরাই আন্দোলনের কথা বলছেন। কিন্তু আমরা যাঁরা সত্যিকারে গরিব মানুষকে পরিষেবা দিতে চাই, তাঁদের মত মানুষকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বউবাজার থানা সূত্রে খবর, শুধু কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকেই অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং রণজিৎ সাহার বিরুদ্ধে জুনিয়র ডাক্তারদের ৪৬টি অভিযোগ মিলেছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বয়েজ হস্টেলে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভয় দেখানোর অভিযোগ রয়েছে।