শেষ আপডেট: 31st October 2024 00:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৮০ দিন পেরলেও সুবিচার মেলেনি আরজি করের নির্যাতিতার। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে কাঠগড়ায় তুলে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার সন্ধেয় সল্টলেকের রাজ্য মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সামনে থেকে মশাল হাতে মিছিল শুরু হয়েছে। জুনিয়র, সিনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি মিছিলে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।
মূলত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তুলে এদিন সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। আরজি করে নির্যাতিতা যাতে সঠিক বিচার পান সেই দাবিতে 'অভয়ামঞ্চ' তৈরি করে ফের পথে নামতে দেখা গেল ডাক্তারদের। পাশাপাশি আগামী ৪ নভেম্বর ‘দ্রোহের আলো জ্বালাও’ কর্মসূচির ডাকও দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁরা কোনওভাবেই আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসবে না। উল্টে দ্রুত মামলার সুরাহা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। সেই মতোই এদিন ফের শহরের রাজপথ দখল করলেন ডাক্তাররা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, সিবিআই ঠিকমতো তদন্ত করছে না। এতদিন হয়ে গেলেও তদন্তকারীদের কোনও তাপ-উত্তাপ নেই। তাই এদিন এক হয়ে সিবিআই-এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ।
এদিনের মিছিলে ঘড়ি ও কম্পাস হাতে দেখা যায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার অরিন্দম ঘোষকে। দ্য ওয়ালকে তিনি জানান, ‘তদন্তে গতি আনতে এবং সঠিক সময় তা শেষ করতেই প্রতীকী ঘড়ি ও কম্পাস নিয়ে আসা হয়েছে।’
আরজি কর কাণ্ডে দ্রুত বিচারের দাবিতে এর আগে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করেছিলেন ডাক্তাররা। সম্প্রতি একই দাবিতে সিবিআইয়ের দফতরে অভিযান করে 'জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা' নামে মহিলাদের এক সংগঠন। বিচার পেতে ঠিক আর কতদদিন সময় লাগবে, এদিনের মিছিল থেকে সেই স্লোগানই তোলা হয়। পাশাপাশি চোখে পড়ে ‘আর কবে’ ব্যানারও।
ইতিমধ্যে ঘটনায় প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সেখানে কলকাতা পুলিশের তদন্তে কেন সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তা নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে বৈঠকের পর অনশন উঠে গেলেও জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অনুরোধে এবং সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।
এদিকে বুধবার সকালেই নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে শিয়ালদহে মিছিল করে ডাক্তারদের নয়া সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। সেখান থেকেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংগঠনের মুখ শ্রীশ চক্রবর্তী অনিকেত মাহাতো, কিঞ্জল নন্দদের পরিকল্পনা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের সিজিও অভিযান প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ মনে করিয়ে দেন, 'প্রথম থেকেই রাজ্য সরকার সুবিচারের দাবি জানিয়ে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রথম থেকে দোষীকে খুঁজে বের করে ফাঁসির সাজা দিতে বলেছেন। ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে। সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও ডাক্তারদের আগেই করা উচিত ছিল। কেন ওঁরা এত দেরি করলেন?'