শেষ আপডেট: 17 June 2023 07:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বর্ষা রাজ্যে ঢুকলেও দক্ষিণের মানুষ এখনও চাতক পাখির মতো বৃষ্টি অপেক্ষায় বসে রয়েছেন। তার মধ্যে তীব্র তাপদাহর পরিস্থিতি চলছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এখনও দিন দুই তিন এমনই থাকবে আবহাওয়া। একে তাপপ্রবাহে রক্ষে নেই, দোসর হয়েছে ঘনঘন কারেন্ট যাওয়া। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় প্রতিদিনই দীর্ঘ সময় ধরে কারেন্ট থাকছে না। অনেকে তো আবার ঘড়ি মেলাতে শুরু করেছে। কখনও দিনে, কখনও আবার রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং! বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে কলকাতাবাসীর রোষের মুখে পড়েছে সিইএসসি।
শহরের উত্তর-দক্ষিণে একই ছবি। লোডশেডিং নিয়ে মানুষের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। ফেসবুকের পেজে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়ছে। কিন্তু প্রতিকার নেই। শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একই পরিস্থিতি। দিন কয়েক আগেই এব্যাপারে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেছিলেন, রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি নেই!
তবে কেন এত লোডশেডিং? বিদ্যুৎমন্ত্রীর কথায়, লোড বাড়ার দরুণ ট্রান্সফর্মারে বিভ্রাট ঘটছে। সে জন্যই বিদুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের দায় সাধারণ মানুষের ঘাড়েই ঠেলে দিয়েছেন অরূপ। শনিবার শহরের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে অনেকটা সেই কথাই বলল সিইএসসি।
এদিন বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে সিইএসসি। সেই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, 'আমাদের শহরে অপ্রত্যাশিত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিগত বহু বছর ধরে আমরা সফলভাবে শহরে বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে আসছি। এমনকী গত ১৬ জুন ২৬০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা আমরা পূরণ করেছি।'
কিন্তু তাতেও মিটছে না চাহিদা, সাধারণ মানুষ এখনও 'অন্ধকার'-এ। এই প্রসঙ্গে সিইএসসি বলেছে, 'এমন পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ করছি যাতে তাঁরা, তাঁদের এসি ন্যায়সঙ্গতভাবে ব্যবহার করেন।' বিদ্যুতের যে লোডসীমা রয়েছে তা বজায় রাখার জন্য গ্রাহকদের কাছে আহ্বান করেছে সিইএসসি।
যদিও এই বছরের তীব্র গরমে যেমন একলাফে বেড়েছে এসি, কুলারের ব্যবহার, তাতে বিদ্যুতের ঘাটতি হওয়ারই কথা। ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ দফতর জানিয়েছে, রেকর্ড চাহিদার সম্মুখীন হয়েছিল তারা গতকাল। ফলে এ কথা নাগরিকরাও স্বীকার করছেন, বিদ্যুতের চাহিদা কয়েকগুণ বেশি। তবে একই সঙ্গে অভিযোগ, এমনটা যে হবে তা আগেই জানত বিদ্যুৎ দফতর। আবহাওয়া দফতর বারবার তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিয়ে এসেছে। তারপরেও কেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? কেন এখনও ওভারলোডিংয়ের সমস্যায় ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে? এইসব প্রশ্নের উত্তর নেই সিইএসসি বা বিদ্যুৎ দফতর কারওর কাছেই।
সপ্তাহান্তে দক্ষিণ পুড়ছে গরমে, উত্তরে বন্যার সতর্কতা! আবহাওয়ার খামখেয়ালে নাভিশ্বাস উঠছে