ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 10 May 2025 22:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে ছিলেন কলকাতার পাটুলির বাসিন্দা বিতান অধিকারী (Bitan Adhikari)। কিন্তু বিতানের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী সোহিনীকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কারণ বিতানের দাদা দাবি করেছিলেন তিনি বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi Citizen)। শেষমেশ সোহিনীকে ভারতের নাগরিকত্ব দিল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।
কর্মসূত্রে আমেরিকায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকতেন বিতান। ছুটিতে কলকাতায় নিজের বাড়ি এসে পরিবার নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর গেছিলেন ঘুরতে। গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গিহানায় তাঁর মৃত্যু হয়। আর এরপরই তাঁর দাদা সোহিনীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এও অভিযোগ ছিল যে, সোহিনীর জন্যই নাকি তাঁদের পারিবারিক অশান্তি ছিল। এমনকী ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য তাঁকেই দায়ী করেছিলেন তিনি! সেই সোহিনী এখন ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়ে গেলেন।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, অনেক আগেই বিবাহসূত্রে সোহিনী ভারতীয় নাগরিকত্বের আবেদন জানিয়েছিলেন। অবশেষে তাঁর সেই আবেদনকে ভারত সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। এর জন্য তিনি আলাদা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদও জানান।
ভাইয়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব ইস্যু ছাড়াও একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন দাদা বিভু। তাঁর বক্তব্য ছিল, সোহিনী এবং তাঁর মা ভারতী রায়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলা এখনও চলছে। পাশাপাশি পরিচয় গোপন করে তাঁর ভাই, পেশায় আইটি কর্মী বিতানকে বিয়ে করেছিলেন সোহিনী! এমনকী তাঁর জন্মের দুটি শংসাপত্র রয়েছে বলেও দাবি ছিল বিভুর। এই কারণে ভাইয়ের মৃত্যুতে সরকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিলে সেটা স্ত্রী হিসাবে সোহিনীর পাওয়ার আইনি অধিকার নেই বলে দাবি ছিল তাঁর।