শেষ আপডেট: 29th November 2024 15:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে তেলের খনি। তার নাগাল পেতেই এবার ১০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ির অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠিও পাঠিয়েছে বলে খবর। কিন্তু রাজ্যের তরফে কোনও উত্তর মেলেনি বলে খবর। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী রাজ্য সরকারের গড়িমসিকেই কাঠগড়ায় তুললেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, ২০২০ থেকে একাধিকবার লিজ মঞ্জুরের আবেদন করা হলেও রাজ্যের তরফে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। কিন্তু এ বিষয়ে আর একেবারেই দেরি করতে চায় না কেন্দ্র। সে কারণে লিজ দেওয়ার বিষয়টি এই মুহূর্তে কোন পর্যায়ে রয়েছে রাজ্যের কাছে ফের তার ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো হল।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবারই লোকসভায় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালে অশোকনগরে বিপুল পরিমাণ খনিজ তেল ও গ্যাসের মজুত রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওএনজিসি তেল ও গ্যাসের সন্ধান করতে ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার জমি লিজ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছিল। দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও বিষষয়টিতে রাজ্য তেমন গুরুত্বই দেয়নি বলে অভিযোগ।
পেট্রোলিয়াম দেশের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে যে রাজ্যের মাটির তলায় তেল থাকে, সে রাজ্যের সরকারের থেকে খননের জন্যে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ নিতে হয় কেন্দ্রকে। মোদী সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের থেকে অশোকনগরের পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ নিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে মোট ১৯টি চিঠি পাঠানো হয়। যার মধ্যে থেকে ১৪টি চিঠি পাঠিয়েছিল ওএনজিসি।
এছাড়া কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকও ৩টি চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। বাকি ২টি চিঠি পাঠিয়েছিলেন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হাইড্রোকার্বন। তবে কোনও চিঠিরই নাকি জবাব দেয়নি রাজ্য। জানা গেছে, প্রথমে ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা লিজের জন্য চাওয়া হলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার। সে কারণেই এবার প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটার খোঁড়াখুঁড়ি করতে চেয়ে ফের রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের।
যদিও রাজ্যের তরফে বারবার জানানো হয়েছে, ওই জমিতে বহু পরিবারের বাস। কেন্দ্রের দাবি মানতে গেলে প্রথমেই তাঁদের উচ্ছেদ করতে হবে। তবে কেন্দ্র গড়িমসির অভিযোগ তুললেও সব অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা রাজ্যের দাবি, প্রথম থেকেই রাজ্য সরকার খননকার্য থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজে সাহায্য করে আসছে। কিন্তু কেন্দ্রের দাবি মেনে এখনই ওই পদক্ষেপ নেওয়া হলে বহু মানুষ ঘরছাড়া হতে পারেন। সে কারণে বারবার চিঠি চালাচালি করলেও কবে বিষয়টির সমাধান হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।