শেষ আপডেট: 18 June 2024 20:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভোট মিটলেও সন্ত্রাসের অভিযোগ অব্যাহত। ফলে এখনও রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে রয়েছে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুর্গাপুজো পর্যন্ত বাহিনীকে রাখার দাবি জানিয়েছে পদ্মশিবির।
এদিকে ১০ জুন থেকে স্কুল খুললেও বাহিনীর কারণে এখনও বহু স্কুলে পঠনপাঠন শুরু করা যায়নি। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা উঠলেও বাহিনী স্কুল থেকে সরানো নিয়ে বিকেল পর্যন্ত রাজ্য বা কেন্দ্রের তরফে আদালতে নির্দিষ্ট করে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ফলে ২১ জুনের পরও বাহিনী থাকবে নাকি সরবে, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল।
দ্য ওয়ালে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এরপরই এ ব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্রর কাছে রিপোর্ট তলব করল বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।
বস্তুত, স্কুলে বাহিনী রাখা নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় এর আগের দিনই হাইকোর্ট জানিয়েছিল, স্কুলের পঠন পাঠন বন্ধ করে বাহিনী রাখা যাবে না। বাহিনীকে অন্যত্র রাখার নির্দেশ সেদিনই দিয়েছিল আদালত। এমনকী কতগুলি স্কুল বাহিনীর দখলে রয়েছে, এই সংক্রান্ত রিপোর্টও তলব করেছিল আদালত।
মঙ্গলবার এবিষয়ে ভিন্ন তথ্য পেশ করেছে রাজ্য ও কেন্দ্র। রাজ্যের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ৯৫টি স্কুলে রয়েছে বাহিনী। অন্যদিকে, কেন্দ্র জানিয়েছে বর্তমানে রাজ্যে থাকা ৪০০ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে ২৩২ কোম্পানি বাহিনী ২৩২টি স্কুল ও কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে। উভয়ের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি টন্ডন এ ব্য়াপারে রাজ্য ও কেন্দ্রের আইনজীবীকে আগামী তিনদিনের মধ্যে স্কুলের পরিবর্তে বাহিনীর জন্য বিকল্প জায়গা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ২১ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এ ব্যাপারে তাঁদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। বস্তুত, ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যের স্কুলগুলিতে বাহিনী রাখার অনুমতি রয়েছে।
সন্ধেই আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণ সামনে আসতে কিছুটা দুশ্চিন্তামুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাঁদের কথায়, কিছুটা্ হলেও দুশ্চিন্তা দূর হল। তবে যতক্ষণ না স্কুল থেকে বাহিনী সরছে, ততক্ষণ চিন্তা তো থাকবেই।
অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বাহিনী থেকে বিশেষ কিছু লাভ হচ্ছে না। তারপরও বাহিনী যদি রাখতে হয় তাহলে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি ব্লকে কমিউনিটি হল রয়েছে, প্রতিটি পঞ্চায়েতে কিষাণ মাণ্ডি রয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে বাহিনীকে রাখা হোক। অনেক বড় ক্লাবও রয়েছে।"
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "২১ জুনের আগেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"