শেষ আপডেট: 10th January 2025 20:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যে অশান্তির পেছনে কেন্দ্রের ব্লুপ্রিন্ট রয়েছে বলে গত ২ জানুয়ারি নবান্নের বৈঠক থেকে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এবিষয়ে শাসকদলের তরফেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ আনা হল।
রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে দলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অভিযোগ, সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে বিএসএফকে রাজনৈতিকভাবে ব্য়বহার করছে কেন্দ্র। এবং পরিকল্পিতভাবে বাংলার সীমান্তে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে।
নবান্নের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, "সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যে বিএসএফের হাতে রয়েছে, তাদেরকে দিয়েই বাংলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে"। এদিন এই প্রসঙ্গেই ফিরহাদ বলেন, "সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টা খুবই সিরিয়াস। এটা নিয়ে রাজনীতি না করে কেন্দ্রের উচিত দেশের উন্নয়নে কাজ করা।"
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অমিত শাহের অধীনে। এ প্রসঙ্গে নাম না করে শাহের উদ্দেশে ফিরহাদের প্রশ্ন, "বাংলায় পায়ের তলায় মাটি নেই বলে একটা কমিউনাল অশান্তি তৈরি করবেন?" খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন, "এভাবে দেশের ক্ষতি করবেন না, বাংলার মানুষ আপনাকে ক্ষমা করবে না।"
আরও বড় অভিযোগ এনেছেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের কথায়, "বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলাকারীদের সীমান্ত এলাকায় নতুন করে গোলমাল তৈরির সুযোগ করে দিচ্ছে কেন্দ্রই। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত সুরক্ষার আসল কাজ অবহেলিত। সেদিকে নজর না দিয়ে ১৫ কিমির পরিবর্তে ৫০ কিমি এলাকা বিএসএফকে দিতে হবে বলে কেন্দ্র রাজনৈতিক দাদাগিরি করে গেছে। এখন তারই ফল ভুগতে হচ্ছে আমাদের।"
প্রসঙ্গত, এ ব্যাপারে আগেই মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থেই মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। এমনকী সীমান্ত এলাকার মানুষকে বিএসএফের প্রতি খেপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। ফিরহাদ, কুণালের অভিযোগের জবাবে বিরোধী দলনেতা বা পদ্মশিবিরের অন্য নেতারা কী প্রতিক্রিয়া জানান, এখন সেটাই দেখার।