শেষ আপডেট: 27th September 2024 16:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে!
আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সূত্র ধরেই সামনে এসেছিল হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংক্রান্ত বিস্তর কেলেঙ্কারির অভিযোগ। এবার এবিষয়েই রাজ্যের সবকটি সরকারি হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংক্রান্ত নথি চেয়ে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি দিল সিবিআই।
সূত্রের দাবি, বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট বা বর্জ্য সংগ্রহে রাজ্যের হাসপাতালগুলির সঙ্গে কোন কোন সংস্থার চুক্তি হয়েছিল, তার বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। ২০২০-২১ সাল থেকে চলতি আর্থিক বর্ষ পর্যন্ত, এই সংক্রান্ত সব নথি চাওয়া হয়েছে।
আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরই সামনে আসে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার, বর্তমানে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার আখতার আলি। আদালতের নির্দেশে ওই দুর্নীতি মামলারও তদন্ত করছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে এ ব্যাপারে আরজি করের পাশাপাশি রাজ্যের আরও একাধিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতির তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে।
এর আগে এ ব্যাপারে আখতার সাহেব অভিযোগ করেছিলেন, "একদিন অন্তর আরজি কর হাসপাতালের ব্যবহার হয়ে যাওয়া সিরিঞ্জ, স্যালাইনের বোতল, রবার গ্লাভস, হ্যান্ড গ্লাভস মিলিয়ে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি মাল বেরোত। এগুলোতেও দুর্নীতি করতেন সন্দীপ ঘোষ। একটা ব়্যাকেট বানিয়ে নিয়েছিলেন, তাতে যুক্ত ছিলেন দু'জন বাংলাদেশিও। তাঁরা এখান থেকে মালগুলো বাংলাদেশে নিয়ে যেত রিসাইকেল করার জন্য।"
নিজের দাবির সপক্ষে আখতার সাহেব এও বলেছিলেন, "এনআরএস-আরজি কর, দুটি হাসপাতালেই বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় একই । অথচ সেপ্টেম্বর ২০২২-ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালের মধ্যে এনআরএসে যেখানে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যর পরিমাণ ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৫০ কেজি সেখানে আরজি করে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যর পরিমাণ
মাত্র ৪৯ হাজার ৬০২.৪৪ কেজি!"