শেষ আপডেট: 12th October 2024 19:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৯ অগস্ট ভোর তিনটে ২০ মিনিটে আরজি করে এসেছিল সঞ্জয়। ৫৩ সিসিটিভি ক্যামেরায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের গতিবিধি ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজকে হাতিয়ার করেই দিনকয়েক আগেই শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। যদিও সেই চার্জশিট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, ওই দিন সঞ্জয় কখন হাসপাতালে এসেছে তা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। রাত ৩টে ২০ মিনিট থেকে শুরু করে ভোর ৪টে ৩২ মিনিট পর্যন্ত সঞ্জয়ের গতিবিধি কোথায় ছিল তা জানতে পেরেছে সিবিআই। ভোরবেলা সঞ্জয়কে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতেও দেখা গিয়েছিল।
তদন্তকারীদের আরও দাবি, গত ৯ অগস্টের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় সঞ্জয় রায় হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার পরনে জিনস ও টি শার্ট ছিল। বাঁ হাতে ছিল একটি হেলমেট। গলায় ঝুলছিল ব্লু টুথ ইয়ারফোন। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় সঞ্জয়কে। এরপর ভোর ৩টে ৩৬ মিনিট নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীকে হাত নাড়ায়। এরপর ভেতরে চলে যায়।
আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, ভোর ৪টে ৩ মিনিট ৩১ সেকেন্ড থেকে ভোর ৪টে ৩ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের মধ্যে সঞ্জয়কে হেলমেট ও কানে ব্লু টুথ ইয়ারফোন নিয়ে ওয়ার্ডের দিকে যেতে দেখা যায়। কয়েক সেকেন্ড পরেই ভোর ৪টে বেজে ৩২ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের মধ্যে ফের সঞ্জয়কে ওয়ার্ডের দিকে যেতে দেখা যায়।
সিবিআইয়ের দাবি, তখন তার হাতে হেলমেট ছিল। ছিল না গলায় ব্লু টুথ ইয়ারফোনও। এই সময়ের মধ্যেই হয়েছে ধর্ষণ ও খুন, এমনটাই অভিযোগ তদন্তকারীদের।
পরে ইয়ারফোনটি পাওয়া যায় তরুণী চিকিৎসকের নীল রঙের একটা ম্যাট্রেসের নীচ থেকে। এরপর তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন এই খুনের ঘটনায় যে ইয়ারফোনটি মিলেছে সেটা সঞ্জয়ের। পরে ইয়ারফোনটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয়েছিল।