শেষ আপডেট: 27th September 2024 17:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এবার হাসপাতালের মর্গে বেনজির অনিয়মের অভিযোগ উঠল। দুর্নীতির তদন্তে নেমে অনিয়মের কথা জানতে পারল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই অনিয়ম চলত বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসক সোমনাথ দাস।
আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্ত করতে প্রাক্তন ফরেন্সিক বিভাগীয় প্রধান সোমনাথ দাসকে শুক্রবার তলব করে সিবিআই। চিকিৎসকের কাছে জানতে চাওয়া হয় ঠিক কী হয়েছিল হাসপাতালে। সে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই প্রাক্তন ফরেন্সিক বিভাগীয় প্রধান দাবি করেন, মুখ খোলার জন্য তাঁকে পদচ্যূত করা হয়েছিল।
এর পরই একে একে তাঁর অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই মর্গ থেকে প্রশিক্ষণের জন্য দেহ আনা হত। পুলিশ, পরিবার কারও অনুমতি না নিয়েই সেই সব দেহ প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হত। এসব নিয়ে মুখ খোলার জন্যই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে, বদলি করা হয়েছিল।
জানা যাচ্ছে, ২১ ডিসেম্বর ২০২২ সালে, দেহ নিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ফরেন্সিক বিভাগে চিঠি দিয়েছিল চিকিৎসক সংগঠন। ময়নাতদন্তের জন্য আসা দেহ দিতে অস্বীকার করেন চিকিৎসক সোমনাথ দাস।
পরের বছর ২৮ ডিসেম্বর আচমকাই ফরেন্সিক বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সেই পদে তারপর দায়িত্ব নেন চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। এরপরই যখন ৩০ ডিসেম্বর চিকিৎসক সংগঠনের থেকে ফের দেহ চেয়ে চিঠি আসে, তখনই দেহ চলে আসে মর্গ থেকে।
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এখন জেলবন্দি। চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন এবং আর্থিক দুর্নীতি দুই ইস্যুতেই তিনি গ্রেফতার হয়েছেন।
সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে আজই কলকাতা পুরসভার নোটিস সাঁটানো হয়েছে। অভিযোগ, বাড়ির একটা অংশ তিনি বেআইনিভাবে নির্মাণ করেছেন।