শেষ আপডেট: 18th November 2024 18:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে আদালতে জানাল সিবিআই।
আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই বয়ানকে সামনে রেখেই এদিন আদালতে জামিনের সপক্ষে জোর সওয়াল করলেন ধৃত টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী।
অভিজিৎ এবং সন্দীপের আইনজীবী এদিন আদালতে জামিনের আবেদন জানান। তাঁর বক্তব্য, 'সিবিআই বলছে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। মানে তারা নিশ্চিত নয় অর্থাৎ ষড়যন্ত্র নাও থাকতে পারে। তাহলে এভাবে কেন আটকে রাখা হবে? কেন জামিন মিলবে না?'
গত ৮ অগস্ট গভীরব রাতে আরজি করের চারতলার সেমিনার হলে নৃশংসভাবে ধর্ষণ-খুনের শিকার হন ডাক্তারি ছাত্রী। ওই ঘটয়া সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণের পর তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এদিন সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয়, আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীর খুন-ধর্ষণের ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা আছে। এব্যাপারে তদন্তে নেমে বাজেয়াপ্ত করা পাঁচটি হার্ড ডিস্ক ফের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে এও জানানো হয়, সঞ্জয় ছাড়া নির্দিষ্টভাবে আর কারও নামে এখনও বিশেষ কোনও তথ্য মেলেনি।
এরপরই টালা থানার প্রাক্তন ওসি এবং আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষর আইনজীবী তাঁদের হয়ে আদালতে জামিনের আবেদন জানান।
টালা থানার প্রাক্তন ওসির আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, "আমরাও জাস্টিস পেতেই আদালতে এসেছি। এটা মোঘল রাজ নয়। বাদশা বললেই হবে না কে কে জেলে থাকবে। এটা কোর্ট।"
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ সেকশনে অভিজিৎ মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন তাঁর আইনজীবী বলেন, "গ্রেফতারের পর প্রথম দিনের আবেদন পত্রে সিবিআই জানিয়েছিল খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়নি। তথ্য নষ্টের সম্ভাবনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর ৬৫ দিন অতিক্রান্ত। এখনও কোনও চার্জশিট দেওয়া হয়নি অভিজিতের নামে। নতুন কোনও সেকশনও যুক্ত করা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। তাহলে কেন এভাবে আটকে রাখা হবে? কেন জামিন মিলবে না?"
সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীও জামিনের আবেদন জানান। এ সময় সিবিআইয়ের তরফে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, সুপ্রিমকোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চলছে।
বিচারক জানান, আলাদা এফআইআর হলে সেক্ষেত্রে বেলেবেল হত। কিন্তু একটি এফআইআরের ভিত্তিতেই তদন্ত চলছে। এরপরই অভিজিৎ-সন্দীপের জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়।