কিঞ্জল নন্দ। জুনিয়র চিকিৎসক।
শেষ আপডেট: 4 September 2024 14:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালে শিক্ষার্থী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে পষ্টাপষ্টিই হতাশা জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা সাংবাদিক বৈঠক করেন। তার পর চিকিৎসক নন্দ বলেন, দোষীরা যে গ্রেফতার হয়নি সেই কারণেই আমরা রাত দখলের ডাক দিয়েছি। যাতে বিষয়টা সুপ্রিম কোর্টের কানেও পৌঁছয়।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৩ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের তদন্তের ভার গ্রহণ করেছে সিবিআই। তার পর থেকে ২২ দিন অতিবাহিত। কিন্তু খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল, তাকে বাদ দিয়ে সিবিআই এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করেনি। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও আরও তিন জনকে অবশ্য গ্রেফতার করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা হয়েছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ভিত্তিতে। খুন ও ধর্ষণের ঘটনা সূত্রে নয়।
এ ব্যাপারে এদিন চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেন, “সেই জন্যই তো আমাদের প্রতিবাদ। সেই জন্যই আমরা রাত ৯টা থেকে ১০টা আলো বন্ধ করে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছি। যাতে প্রতিবাদের আওয়াজ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছয়।”
আরজি করে ডাক্তার-ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার আগেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে নেমে পড়েছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর সিবিআইকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, আরজি কর মামলার গত শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার কথা বলেছিলেন। জুনিয়র ডাক্তাররা এখনও যে তা পুরোপুরি মেনে নিয়েছেন তা নয়। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অন্যতম জুনিয়র চিকিৎসক সৌমদীপ রায় বলেন,"আমরা তো এখনই কাজে ফিরতে চাই। ২৭ দিন ডাক্তারি ছেড়ে আছি। এভাবে কার ভাল লাগছে বলুন! কিন্তু বুঝতে হবে ঘটনার গভীরতা ও গুরুত্ব। এই ঘটনার পরও যদি দোষীরা গ্রেফতার না হয়, তাহলে কালই যে আবার একই রকম ঘটনা ঘটাবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? অপরাধীরা হয়তো এখানেই ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। ফলে ন্যায় বিচারটাই আমাদের কাছে মূল। সেটা না হলে আমরা কি করে আমাদের বোনেদের বলতে পারি যে আপনারা কাজে যোগ দিন?"
সার্বিক এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতে শুনানির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে সিবিআইয়ের স্ট্যাটাস রিপোর্ট। চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তাদের তদন্ত কতদূর এগোল সে ব্যাপারে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে কী জানায় এখন সেটাই দেখার।