গ্রাফিক্স - শুভ্র শর্ভিন।
শেষ আপডেট: 6 February 2025 14:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শাশুড়ি-বৌমার লড়াই সর্বজনবিদিত। এবার রান্নাঘরের দখল নিয়ে এক শাশুড়ি-বৌমার মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে!
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে উঠেছিল নজিরবিহীন এই মামলাটি। কলকাতা পুলিশকে দু'পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে রান্নাঘর কার, সেই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ২ অগস্ট স্বামীকে হারান অঞ্জু রায়। তিন কন্যা সন্তান ও এক পুত্রের জননী তিনি। কন্যা সন্তানরা প্রত্যেকেই বিবাহিত। পুত্র বিশ্বজিৎ রায় সংলগ্ন একটি বাড়িতে পৃথকভাবে বাস করে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে।
অভিযোগ, পুত্র ও পুত্রবধূ প্রায়শই নগদ অর্থ ও গহনার অংশ লাভের জন্য তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করত। সেখানেই তাঁরা শুধু থেমে থাকেননি। একমাত্র রান্নাঘরটিও দখল করে নিয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে তিনি শোবার ঘরেই বসবাস করেন। সেখানেই রান্না করে জীবনযাপন করেন। পুলিশকে অভিযোগ জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। সিনিয়র সিটিজেন আইন অনুযায়ী, তিনি এই রান্নাঘরের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
চিৎপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় এরপরই রান্নাঘরের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রবীণ অঞ্জু রায়। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন তিনি। অঞ্জুদেবী আদালতকে জানান, তাঁর রান্নাঘর থেকে সমস্ত সামগ্রী জোর পূর্বক বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর রান্নাঘরের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে তিনি ছোট্ট শোবার ঘরেই রান্না করে দিনযাপন করছেন।
এরপরই রান্নাঘরের অধিকার অঞ্জু রায়ের নাকি তাঁর বৌমার, তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চিৎপুর থানার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
বিভিন্ন মামলাকে কেন্দ্র করে যেদিন হাইকোর্ট চত্বরে আইনজীবীদের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। তাঁদের মতে, সাংসারিক দ্বন্দ্ব কোন জায়গায় পৌঁছলে তবে রান্নাঘরের দখল নিয়ে হাইকোর্ট মামলা হয়।