গ্রাফিক্স দ্য ওয়াল।
শেষ আপডেট: 2 May 2025 18:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রতারণার নয়া ধরন! এবারে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে ট্রু কলারের সাহায্যও নিচ্ছে সাইবার দুষ্কৃতীরা। এমনটাই দাবি সাইবার পুলিশের (Cyber Expert)।
পুলিশের দাবি, রান্নার গ্যাসের (Gas Office) ভুর্তকির টাকা পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে নতুন করে জালিয়াতি শুরু করেছে সাইবার দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা জেলায় এই চক্র সক্রিয়।
পুলিশের পরামর্শ, ' গ্যাসের অফিস থেকে বলছি' সংক্রান্ত ফোন রিসিভ করলেও তাঁদের বলা কোন লিঙ্কে যেন কেউ ক্লিক না করেন। কারণ, লিঙ্কে ক্লিক করা মানেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের টাকা মুহূর্তে ফাঁকা হয়ে যাওয়া।
কীভাবে হচ্ছে এই জালিয়াতি? ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে বেশ কয়েকজন গ্রাহক অভিযোগও জানিয়েছেন। তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা যে নম্বর থেকে ফোন করছে তাতে মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠছে গ্যাস সংস্থার 'লোগো সহ গ্যাস অফিস' লেখা নম্বর। ফলে প্রতারণার বিষয়টি গ্রাহকের মাথায় থাকছে না। অনেকেই গ্যাস অফিসের ফোন ভেবে তা রিসিভও করছেন।
এমনকি গ্রাহকের আস্থা অর্জনে কার নামে গ্যাসের কানেকশন এবং কোন ডিস্ট্রিবিউটরের অধীনে তাও বলছে প্রতারকরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গ্রাহকদের মধ্যে শোরগোল তৈরি হয়েছে। তাঁদের মতে, এত সব ডিটেলস সাইবার প্রতারকরাইবা জানতে পারছে কী করে? ঘটনার সঙ্গে গ্যাস অফিসের একাংশ জড়িত নয় তো? পুলিশের বক্তব্য, তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গ্রাহকদের সচেতন করতে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওয়েস্টবেঙ্গল এইচপি ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় আগরওয়াল বলেন, ‘বিষয়টি খুবই বিভ্রান্তিকর। তাই গ্রাহকদের সচেতন করতে আমরা এসএমএস পাঠাচ্ছি।"
একই সঙ্গে বিভিন্ন গ্যাস অফিসের তরফেও নোটিসের মাধ্যমে গ্রাহকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, গ্যাসের ভুর্তকির টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে গ্যাস অফিস থেকে ফোন করা হয় না।