Advertisement
ফাইল ছবি
Advertisement
শেষ আপডেট: 18 April 2025 22:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়াকফ আইনের (Waqf Amendment Act 2025) বিরোধিতায় রাজ্য উত্তাল হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, মালদহের ঘটনা তো ছিলই, ভাঙড় উত্তপ্ত হয়েছিল। আইন বাতিলের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন সংখ্যালঘুর সম্প্রদায়ের মানুষ। বিগত এক সপ্তাহে রাজ্যজুড়ে কী হয়েছে তা সকলের জানা। এবার এই আইন বাতিলের দাবিতে ‘ব্রিগেড চলো’র (Brigade) ডাক দেওয়া হল।
শুধু বাংলা নয়, দেশের নানা প্রান্তে এই আইন বাতিলের দাবি তোলা হয়েছে। শুধু মিছিল বা মিটিং নয়, প্রতিবাদের নামে ভাঙচুর চালানো হয়েছে নানা জায়গায়। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এমন ছবি ধরা পড়েছে। মানুষের মৃত্যু হয়েছে, পুলিশও হামলার মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছিল যে, প্রাণ প্রাণ বাঁচাতে এক জেলার মানুষ অন্য জেলা, এমনকী অন্য রাজ্যেও চলে গেছেন। যদিও পুলিশ দাবি করেছে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আর এই সময়ই ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেওয়া হল।
ফুরফুরার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ সভা আয়োজন করছেন পীরজাদারা। শুক্রবার এমনই এক সভা থেকে ব্রিগেডে সমাবেশ করার ডাক দেওয়া হয়েছে। মুসলিম ল’ বোর্ডের তরফে এই সমাবেশ আয়োজন করা হবে বলেও জানানো হয়। যদিও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন না তহ্বা সিদ্দিক্কি এবং ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তবে জানা গেছে, আগামী ২৬ এপ্রিল এই জন সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদিও ব্রিগেড সমাবেশে তহ্বা, নওশাদ বা তাঁর দাদা আব্বাস সিদ্দিকি থাকবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ক'দিন আগেই ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় ভাঙড়ে পুলিশের ওপর হামলা হয়। গাড়িতে পরপর আগুন লাগানো থেকে শুরু করে হামলা ও হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় এখনও অবধি ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিনাখাঁ, বাসন্তী, ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে আইএসএফ নেতা-কর্মীরা কলকাতা যাওয়ার জন্য রওনা দিলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাসন্তী হাইওয়ে।
লাঠিচার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রনে আনলেও দুপুরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠে শোনপুর এলাকা। বিক্ষুব্ধরা পাঁচ পাঁচটি পুলিশের বাইকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। ভেঙে ফেলা হয় একের পর এক গাড়ির কাচ, এলাকার সিসিটিভি। শুধু তাই নয়, বিক্ষুব্ধদের হামলায় অন্তত ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ জখম হন বলেও অভিযোগ ওঠে।
Advertisement
Advertisement