শেষ আপডেট: 3rd September 2024 15:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। কিন্তু সেই অভিযানের আগের রাতেই চার ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এই ইস্যুর জল কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছে আদালত। পাশাপাশি রাজ্যের থেকে হলফনামাও চাওয়া হয়েছে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন ওই ছাত্রনেতারা নিখোঁজ। পরে পুলিশ সেই অভিযোগ খণ্ডন করে জানায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নবান্ন অভিযানে তাঁরা অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল বলে অভিযোগ ছিল বলে জানায় পুলিশ। কিন্তু নবান্ন অভিযানের দিনই তাঁদের ছেড়ে দেয় তাঁরা। এই গ্রেফতারি নিয়েই কলকাতা হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছে। রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে এই গ্রেফতারি আইন মেনে হয়েছিল কিনা।
বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চ এর আগে প্রশ্ন তুলেছিল, ঠিক কোন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছিল? আর যদি খুনের চেষ্টার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাহলে তাঁদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হল কীভাবে? এই ইস্যুতে পাল্টা মামলাকারীদেরও হলফনামা দিতে বলা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ তারিখ।
চার ছাত্রনেতার গ্রেফতারি নিয়ে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই চার জন নবান্ন অভিযানে ব্যাপক হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন, এমন অকাট্য প্রমাণ রয়েছে তাঁদের হাতে। খুন ও খুনের চেষ্টার চক্রান্ত করছিলেন ওঁরা। ওই চার ছাত্রের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগই দায়ের করেছেন তাঁরা। তবে তার আগে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ এই ছাত্রদের কিডন্যাপ করেছে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ মামলা দায়েরের অনুমতি দেন।