ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 17 April 2025 08:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়াকফ-অশান্তির (Waqf Protest) জেরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহু মানুষ ঘরছাড়া। কেউ খোলা মাঠে গিয়ে থাকছেন, কেউ পালিয়ে গেছেন অন্য জেলা বা রাজ্যে। এই অবস্থায় সেখানে ত্রাণ শিবির খুলতে চেয়েছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু অভিযোগ ওঠে পুলিশি বাধার! তারপরই পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা হয়। সেই মামলায় আদালত স্পষ্ট জানাল, মুর্শিদাবাদে ত্রাণ দেওয়া যাবে।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে হাইকোর্টে বলা হয়েছিল, মুর্শিদাবাদে ত্রাণ দিতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। অনুমতি চাওয়া হলে তা দেওয়া হয়নি। অশান্ত এলাকায় বহু মানুষ ঘরছাড়া। তাঁদের জন্য রিলিফ ক্যাম্প খুলতে চায় তাঁরা। আক্রান্তদের খাবার, ওষুধ, জামাকাপড় তুলে দিতে চায়। সেই কারণে তাঁদের ত্রাণ দিতে অনুমতি দেওয়া হোক। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সেই অনুমতিই দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ। তবে রয়েছে কিছু শর্তও।
আদালত জানিয়েছে, দু'সপ্তাহে দু'দিন করে ওই সংগঠন মুর্শিদাবাদে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করতে পারবে। তবে সেই কর্মসূচির ২৪ ঘণ্টা আগে জেলাশাসককে জানাতে হবে। কোন জায়গায় সংগঠনের সদস্যরা যেতে চান ও কাদের ত্রাণ দিতে চান, সে ব্যাপারেই বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে তাঁদের। এছাড়া ত্রাণ দেওয়ার সময়ে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় গত শুক্রবার থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। এখন পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হয়েছে। বুধবার থেকে নতুন করে তেমন কোনও গন্ডগোলের খবর মেলেনি জঙ্গিপুর, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ বা সুতি থানা এলাকায়। তবে বহু মানুষ এখনও ঘরছাড়া। তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই উদ্যোগ নিয়েছে ওই সংগঠন।
এদিকে ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে রামকৃষ্ণ মিশনও। মুর্শিদাবাদ থেকে বহু মানুষ পালিয়ে এসে আপাতত রয়েছেন মালদহ জেলায়। সেখানেই ত্রাণ বিলি করেছে রামকৃষ্ণ মিশন। জেলার পারলাপুর হাইস্কুল এখন 'উদ্বাস্তু শিবিরে' পরিণত হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া মানুষদের সাহায্যে তাই এগিয়ে এসেছে মিশন কর্তৃপক্ষ।
বুধবার আবার মুর্শিদাবাদের কয়েকজন ঘরছাড়াদের নিয়ে ভবানী ভবন গিয়ে ডিজির সঙ্গে দেখা করে বিজেপির প্রতিনিধি দল। তবে সেই বৈঠকে তাঁরা আশ্বস্ত হননি বলেই জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, সাংবাদিকদের বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, যে যে প্রশ্ন তাঁরা করেছিলেন, তার যথাযথ উত্তর পাননি। ডিজি ঘরছাড়াদের অভিযোগের কথাও শুনেছেন। তবে আশ্বস্ত করার মতো কিছু বলতে পারেননি।