Date : 14th Jul, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
সোনার গয়না বা রুপোর বাসন বন্ধক রেখে কী আর ঋণ নেওয়া যাবে না? নতুন ব্যাখ্যায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কেরসৌদি যাওয়ার টোপ! ১২ বছরের পাত্রী, ২০ বছরের বর, গোপন বিয়ের আসরে পুলিশের হানা‘তুমিই আমায় পূর্ণ করেছ!’ আলকারাজ-সিনারের দ্বৈরথের আড়ালে রয়েছে তীব্র প্যাশন, অটুট শ্রদ্ধাইজরায়েলি হামলায় মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে গিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট, তাঁর সন্ধান কে দিয়েছিল'মুড়ি মিছরি এক হয়ে গেছে', চাকরিহারা 'যোগ্য'দের নবান্ন অভিযান যথাযথ, বার্তা শমীকেরAhmedabad Plane Crash: যান্ত্রিক বা রক্ষণাবেক্ষণের ত্রুটি মেলেনি, জানালেন এয়ার ইন্ডিয়া সিইওরক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর, বাবাকে কুপিয়ে খুন করল মা, 'চুপ থাক, নাহলে তোকেও...', হুমকি কিশোরকে!রাধিকার বান্ধবীর দাবি খারিজ করল পরিবার, এদিকে মোবাইলের মুছে ফেলা তথ্য ফিরিয়ে দেখছে পুলিশবর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন, অবসাদে আত্মঘাতী প্রাক্তন ‘মিস পুদুচেরি’ সান রেচালপ্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য রথের মেলা গুটিয়ে ফেলার নির্দেশ, ক্ষতির মুখে শতাধিক ছোট ব্যবসায়ী
Calcutta High Court

'দুর্নীতি হয়েছে জেনেও সবাই চুপ থাকবে?' ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট

প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সবাই চুপচাপ থেকে গেছে। দুর্নীতি হয়েছে অথচ হস্তক্ষেপ করতে বারণ করছে।  

'দুর্নীতি হয়েছে জেনেও সবাই চুপ থাকবে?' ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট

কলকাতা হাইকোর্ট

শেষ আপডেট: 1 July 2025 12:21

দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'দুর্নীতি ধরা পড়লে, চাকরি বিক্রিতে প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা জড়িত আছেন তা দেখলেও কি একজন বিচারপতি চুপ করে থাকবেন?' ৩২ হাজার চাকরি বাতিল (32 thousand job cancel) মামলায় এমনই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী (Justice Tapabrata Chakraborty)। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সবাই চুপচাপ থেকে গেছে। দুর্নীতি হয়েছে অথচ হস্তক্ষেপ করতে বারণ করছে।  

২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে যাঁরা ২০১৭ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একাংশের চাকরি চলে যায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, যখন অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নিয়োগ বাতিলের দাবি তোলেন।

মঙ্গলবারের শুনানিতে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে চাকরি হারানো ৭০৫ জনের পক্ষে সওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র। জানান, “এই ৭০৫ জন প্রার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন, ২০১৭ সালে তাঁদের নিয়োগ করা হয়। এর পর পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। বোর্ড যদি পদ তৈরি করে নিয়োগ দেয়, তার দায় কি প্রার্থীদের ঘাড়ে চাপানো যায়?”

বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন, “কত শূন্যপদ ছিল? কত জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন?” উত্তরে অনিন্দ্য মিত্র জানান, “১ লক্ষের বেশি আবেদনকারী ছিলেন। প্রায় ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু আজ তাঁদের চাকরি প্রশ্নের মুখে।”

তাঁর যুক্তি, “বোর্ডের দেওয়া রিপোর্টে কোথাও বলা হয়নি যে এই নিয়োগ বাতিলযোগ্য। তদন্তে কোনও প্রমাণ মেলেনি যাতে বলা যায় দুর্নীতির ভিত্তিতে এঁদের বাদ দিতে হবে। অনেকেই প্রভাবিত হয়েছেন, অথচ তাঁদের পার্টি করা হয়নি। নম্বর বিভাজনেও বিভ্রান্তি রয়েছে — বিভিন্ন জেলার মধ্যে অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউ নম্বরে পার্থক্য ছিল। ফলে নম্বরের ভিত্তিতে কারও নিয়োগ বাতিল ঠিক নয়।”

এই প্রসঙ্গে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী বলেন, “আপনারা সাইলেন্ট স্পেকটেটর ছিলেন কেন? বোর্ড কি আদালতকে জানিয়েছিল যে কোথাও ভুল তথ্য ছিল? তখন কিছু বলেননি, এখন বলছেন ভুল হয়েছে!” অনিন্দ্য মিত্রের জবাব, “বিচারপতি কি একবারও বলেছেন ১৪.১৯ নম্বর বেঞ্চমার্ক ছিল? তাহলে যাঁদের নম্বর বেশি ছিল, তাঁদের কী হবে?” এক্ষেত্রে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, প্রভাবিতদের কথা আদালতের সামনে আনা হয়নি কেন।

আইনজীবীর বক্তব্য, “ক্রস-চেক না করে কিছুই প্রমাণ করা যায় না। বোর্ডের দায়িত্ব ছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখা। ২০টি জেলার মধ্যে মাত্র ৪টি জেলা থেকে ইন্টারভিউয়ার ডাকা হয়েছিল। এতে প্রশ্ন থেকেই যায়।”

দুর্নীতি হলে বোর্ড দায়ী, চাকরি যাবে কেন? বিচারপতি সাফ কথা, “আপনারাই তো বলছেন দুর্নীতি হয়েছে, টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাহলে আদালত কেন বলবে না যে সব চাকরি বাতিল হোক?” এই প্রেক্ষিতে আইনজীবী চান, একটি স্বাধীন সংস্থা গঠন করে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক। কিন্তু বিচারপতির সন্দেহ, সেই সংস্থাও যদি প্রভাবিত হয়?

এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার। 


ভিডিও স্টোরি