শেষ আপডেট: 26th July 2024 14:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যপাল সম্পর্কে যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী সহ ৩ তৃণমূল নেতা। তবে সেই মন্তব্য যেন মানহানি সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন না করে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানি সংক্রান্ত মামলায় এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্যপালের মানহানি সংক্রান্ত মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মামলাতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূলের তিন নেতৃত্ব রাজ্যপাল সম্পর্কে যে কোনও রকম বক্তব্য রাখতে পারেন।
ডিভিশন বেঞ্চের মামলাটিতে বিচারপতি দ্বয়ের পর্যবেক্ষণ, "কোনও মানুষের বাক স্বাধীনতা খর্ব করা যায় না। যদিও বাক স্বাধীনতার কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তবে কোনও মন্তব্য যেন মানহানি সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন না করে। তাছাড়া সত্যি জানার অধিকার সকলের রয়েছে। সেই সত্য যদি জনস্বার্থের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে জনপ্রতিনিধির অধিকার আছে সেই বিষয় জনসমক্ষে বলার। সুপ্রিমকোর্ট একাধিক নির্দেশে সে কথা উল্লখ করেছে।" একইসঙ্গে মূল মামলাটির সঙ্গে এই মানহানি সূচক বক্তব্যের উপর স্থগিতাদেশের বিষয়টি সিঙ্গেল বেঞ্চকে আরও একবার বিচার করে দেখতে হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চের।
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। পরে তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও ওই মামলায় যুক্ত করা হয়। গত ১৬ জুলাই সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে মুখ্যমন্ত্রী সহ চার জনকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও রকম অসম্মানজনক মন্তব্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৃষ্ণা রায়। আগামী ১৪ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও মানহানিকর বা অসত্য মন্তব্য করা যাবে না। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি।
মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, যে মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা জনগণের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন। রাজ্যপালের উদ্দেশে করা মুখ্যমন্ত্রীর কোনও মন্তব্যই মানহানিকর নয়। রাজ্যপালের করা মানহানি মামলায় অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণ ছাড়াই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। একই দাবি করেন মামলায় অভিযুক্ত আরও তিন তৃণমূল নেতৃত্বও। আপাতত ডিভিশন বেঞ্চ থেকে মামলা ফেরত গেল সিঙ্গল বেঞ্চে ।