শেষ আপডেট: 29th October 2024 15:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাসপূর্ণিমার পরে ১০ হাজারেরও বেশি পশুবলি দেওয়া হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি কালীমন্দিরে। পশুবলির এই রীতির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে গড়িয়েছিল মামলা।
ওই মামলার পর্যবেক্ষণে মঙ্গলবার হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তর প্রসঙ্গ টেনে আনলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের বেঞ্চ।
আদালত সূত্রের খবর, পশুবলি সংক্রান্ত মামলার পর্যবেক্ষণে এজলাসে উপস্থিত এজি কে দেখিয়ে দুই বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, 'অ্যাডভোকেট জেনারেল নাকি মাছ না খেয়ে এক দিনও থাকতে পারেন না।' যা শুনে এজিও লাজুক কণ্ঠে ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানিয়ে বলেন, "আমি আমিষভোজী, ভীষণভাবে মাছ প্রিয়!"
এরপরই মামলাকারীর উদ্দেশে হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চ জানিয়ে দেন, পূর্ব ভারতের সকলকে নিরামিষাশী করা যদি মামলাকারীর চূড়ান্ত লক্ষ্য হয়, তবে তা আদালতের পক্ষে করা সম্ভব নয়।
সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদ এর প্রসঙ্গ টেনে মামলাকারীর আইনজীবী অবশ্য বোঝাতে চান, ধর্মীয় আচার পালনের অধিকারের মধ্যে এই পশুবলির রেওয়াজ পড়ে না।
জবাবে আদালত এজির প্রসঙ্গ টেনে বোঝায় যে তা বলে সকলকে নিরামিশাষী করাও সম্ভব নয়। আদালত এও জানায়, এই সব উৎসবের মধ্য অন্য ধরনের মেজাজ থাকে। এর সঙ্গে অনেকের বিশ্বাসও জড়িত। অনেক রাজ্যে মোরগ লড়াইও হয়। তাই পাঁঠা বলির ওপরও কোনও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না।